দেশভাগের প্রবর্তক হিন্দু মহাসভা! ইতিহাস লিখুন কিন্তু বিকৃত করবেন না, তোপ দাগল কংগ্রেস
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেল সোমবার। সোমবার মধ্যরাতে ভোটাভুটির মাধ্যমেই পাস হল বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়ল ৩১১। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৮০।
নাগরিকত্ব বিল পাস নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কীসের। আমরা এর বিরোধিতা করছি, কারণ আমাদের বিরোধিতার কারণ কারণ রাজনৈতিক নয়, আদর্শিক। এই বিল সংবিধানের উপর আক্রমণ। বিজেপি এই বিল পাস করতে চাইছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল প্রস্তাব পেশ হতেই গর্জে উঠলেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা।
সংবিধানের জনকদের কাছে এটা অপমান
তিনি বলেন, বিলটি সংবিধানের পরিপন্থী। ২০১৯ সালের এই বিলে পাসের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আমাদের সংবিধানের প্রতিষ্ঠাতা, সংবিধানের জনকদের কাছে এটা অপমান। এই বিল উত্থাপন করে মোদী সরকার তাঁদের প্রজ্ঞাকে অপমান করছেন।
দেশভাগের পর দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও ভারতে আসেন
আনন্দ শর্মা আরও বলেন, "দেশভাগের পরে যারা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসেছিল তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের মধ্যে রয়েছেন আমাদের দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। একজন ডাঃ মনমোহন সিং এবং অন্যজন আই কে গুজরাল। নাগরিকত্ব আইনে ১৯৫৫ সাল থেকে সংশোধনী দেখা গেছে। কিন্তু এই আইনের মৌলিক বিষয়গুলির কখনই হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
দেশভাগ হিন্দু মহাসভা দ্বারা প্রবর্তিত
এবার কেন্দ্রের সরকার রাজনীতির স্বার্থে মৌলিক অধিকারে হাত দিয়েছে। তাদের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আসা। মোদী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আনন্দ শর্মা কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, দু'দেশের বিভাজন-তত্ত্ব জিন্নাহ কখনই আনেনি। এটি ১৯৩৭ সালে গুজরাটে হিন্দু মহাসভা দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল।
মুসলিম লিগ আর হিন্দু মহাসভাকে চাপ দেয় ব্রিটিশরা
কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মার কথায়, আপনি ব্রিটিশদের জড়িত থাকার কথা বলছেন না কেন? তারাই মুসলিম লীগকে ক্ষমতায়িত করেছিল। ব্রিটিশরা কংগ্রেসকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা মুসলিম লিগ আর হিন্দু মহাসভাকে দুটি জাতির কাছে চাপ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল।
ইতিহাস লিখুন, বিকৃত করবেন না
কংগ্রেস সাংসদ বলেন, আপনারা ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাইছেন। নতুন করে ইতিহাস লিখুন তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না। সেখানে আমাদের আপত্তি আছে, থাকবেও। মনে রাখা উঠিত, যখনই সংবিধান সংশোধন হয়েছে, কখনই ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়নি।
অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য জানার স্বাধীনতা, পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ঘিরে বিতর্ক