বিজেপি-বধে নয়া মন্ত্র! কংগ্রেসের মিশন গুজরাতে মেগা-প্ল্যান মল্লিকার্জুন খাড়গের
বিজেপি-বধে নয়া মন্ত্র! কংগ্রেসের মিশন গুজরাতে মেগা-প্ল্যান মল্লিকার্জুন খাড়গের
হিমাচলের নির্বাচন শেষ। এবার মিশন গুজরাত। নেতৃত্ব বদলের পর মোদী-রাজ্যে ভোট প্রচারে মেগা-প্ল্যান রচনা করেছে মল্লিকার্জুন খাড়গের কংগ্রেস। বিজেপিকে হারাতে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চলেছে। এই মর্মে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। ২০২৪-এর আগে মোদী-রাজ্যে বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়াই লক্ষ্য কংগ্রেসের।
সামনেই মাসই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। ফলে হাতে সময় বেশি নেই। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে। শুধু বিজেপি নয়, আম আদমি পার্টির থেকেও পিছিয়ে কংগ্রেস। তাই আগামী ১৫ দিনে ঝড় তুলতে চাইছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পরিকল্পনা করেছেন, আগামী ১৫ দিনে অন্তত ২৫টি মেগা ব়্যালি করতে।
কংগ্রেসের লক্ষ্য গুজরাতে মোদী অ্যান্ড ব্রিগেডকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। মোদীরাজ্যে যদি অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস আশানুরূপ ফল করতে পারে, তবে ২০২৪-এর আগে তা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা হবে। এবং ২০২৪-এ বিজেপির পতনের সূচনা হবে মোদী-রাজ্য থেকে এবং কংগ্রেসকে সেই ফল বিরাট মাইলেজ দেবে।
হিমাচল প্রদেশের ভোটগ্রহণ শেষ হতেই মোদী-রাজ্যের প্রচারে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে হাত শিবির। নিজের রাজ্যে ভোট প্রচারে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর কংগ্রেসের নয়া প্রধানের পরিকল্পনা বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জে মুখে ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কাঁটে কা টক্কর হবে গুজরাতে।
হিমাচলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শচীন পাইলট-সহ কতিপয় নেতা-নেত্রীর উপর দায়িত্ব ছিল। কিন্তু গুজরাতে গোটা গান্ধী পরিবার-সহ পুরো কংগ্রেস টিম ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। এই মর্মে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়বে বিগত দুদিন ধরে সোনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রচারের একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের ঊর্দ্বতন নেতৃত্বের অনেকেই গুজরাতে প্রচারে শামিল হবেন। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত, তিনিও আসবেন সময় বের করে। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দু-দিনের মধ্যে গুজরাতে পাড়ি জমাচ্ছেন। যাবেন সোনিয়া গান্ধীও।
কংগ্রেস এবার গুজরাতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন তিন মাস আগে থেকে জনসভা ও রোড শো করছেন, তখন কংগ্রেস ব্যস্ত থেকেছে দুয়ারে দুয়ারে প্রচারে। পাড়ায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন স্থানীয় নেতারা। রাজ্য নেতারা ছোটো ছোটো সভা করে জনসংযোগ করে গিয়েছেন। একেবারে শেষ ল্যাপে তারা নির্বাচনী জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ ১৫ দিনে ২৫ ব়্যালি।
মল্লিকার্জুন খাড়গে গুজরাতের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করে চূড়ান্ত করে ফেলেছেন পরিকল্পনা। ১২৫টি বিধানসভা কেন্দ্রকে বেছে নিয়ে ২৫টি মেগা ব়্যালি করার স্থান চূড়ান্ত হয়েছে। যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের শক্তি বেশি সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে বেছে নিয়ে এই ব়্যালি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দলে ঐক্যের বার্তা দিয়ে এই প্রচার পরিকল্পনার সার্থক রূপায়ণে বিজেপিকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়াই লক্ষ্য খাড়গের।
শুধু গান্ধী পরিবার নয়, অশোক গেহলট থেকে শুরু করে ভূপেশ বাঘেল এবং ওবিসি, এসসি, এসটি ও সংখ্যালঘু বিভাগের বড় নেতাদের গুজরাতের প্রচারে নামানো হচ্ছে. উল্লেখ্য, অশোক গেহলটকে গুজরাতের ভোটের সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নামানো হচ্ছে শচীন পাইলটদের মতো তরুণ-তুর্কি নেতাদেরও। এবার কংগ্রেস বুথ ম্যানেজমেন্টের উপর বেশি জোর দিয়েছে গুজরাতে।
পঞ্চায়েতের দিগনির্দেশনা মাত্র ১৮ লাইনের চিঠিতে, বিধায়কদের বার্তা দিলেন মমতা