ঝাড়খণ্ড মডেলে বিহার বিধানসভা জয়ের পরিকল্পনা কংগ্রেসের
বিজেপির প্রতাপকে হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হওয়া একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রেখে কংগ্রেস প্রমাণ করে দিয়েছে যে বিজেপি অজেয় নয়।
বিজেপির প্রতাপকে হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এসেছে জাতীয় কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হওয়া একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রেখে কংগ্রেস প্রমাণ করে দিয়েছে যে বিজেপি অজেয় নয়। তবে এটা করতে গিয়ে সব রাজ্যেই প্রায় ক্ষমতাতে থাকলেও জোটের ছোট ভআই হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছে দেশের শতাব্দী প্রাচীণ এই জাতীয় দলের।
পিছনের সারিতে বসতে রাজি কংগ্রেস
ঝাড়খণ্ডে যেমন হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চাকে সামনে রেখে বিজেপিকে আটকেছে কংগ্রেস। তেমন করেই বিহারেও আরজেডিকে সামনে রেখে বিজেপি-জেডিউ জোটকে রুখতে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ড নির্বাচনেও আরজেডি কংগ্রেস-জেভিএম জোটের অংশ ছিল।
সাত মাসেই ছবি বদল ঝাড়খণ্ডে
ঝাড়খণ্ডে সাত মাসেই পুরোপুরি ঘুরে গেছে ছবিটা। সাত মাসে লোকসভা ভোটে এই ঝাড়খণ্ড থেকে ১৪টির মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আর সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা ভোটে ক্ষমতাসীন বিজেপি গোহারা হল কংগ্রেস জোটের কাছে। এবার ধাক্কাটা বেশ জোরই ছিল। বিজেপি হারার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের তকমাও খুঁইয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে ধরাশায়ী বিজেপি
৮১ আসনের বিধানসভায় ২৫টি আসনে জিততে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। আর ৪৭টি আসনে জিতে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তাদের জোট শরিক কংগ্রেস জিতেছে ১৬টি আসনে। অপর শরিক দল আরজেডি জয়ী হয়েছে একটি আসনে।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি
এনআরসি ও সিএএ বিল নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, তখন বিজেপির বিরুদ্ধে এই ফল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীরা তো প্রচারে ঝাঁঝ বাড়িয়ে বলে, বিজেপি মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে চেয়েছিল, ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছে। এদিকে সিএএ-এনআরসি নিয়ে নিজেদের জোটেও অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন সিএএ-কে সমর্থন করলেও রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না তিনি। এই ফাঁটলের ফায়দা তুলতেই কংগ্রেস পিছনের সারিতে বসতেও রাজি।