ভুল করে সম্মতি জানিয়েছি, সংসদীয় কমিটিতে কৃষি আইনের পক্ষে দাঁড়ানোয় ‘আক্ষেপ’ কংগ্রেসের সাংসদের
ভুল করে সম্মতি জানিয়েছি, সংসদীয় কমিটিতে কৃষি আইনের পক্ষে দাঁড়ানোয় ‘আক্ষেপ’ কংগ্রেসের সাংসদের
কৃষি আইন নিয়ে সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ, তখন এই রিপোর্ট থেকে নিজেদের হাত তুলে নিলেন কংগ্রেসের সাংসদ সপ্তগিরি উলাকা ও রাজমোহন উন্নিথান। আপত্তিও তুলেছেন এই সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট নিয়েও। এমনকী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে এই রিপোর্টের বিরোধিতার কারণও স্পষ্ট করেছেন সপ্তগিরি। যা নিয়ে ফের চাপানৌতর শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক আঙিনায়।
কী দাবি করছেন কংগ্রেস সাংসদরা ?
কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি উলাকার দাবি, রিপোর্ট গৃহীত হওয়ার সময় তিনি বৈঠকে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু খুব কম সময়ের নোটিসে বৈঠক ডাকায় তিনি খসড়া রিপোর্ট পড়ার সময় পাননি।তীব্র আপত্তি জানাতে দেখা গিয়েছে অপর সাংসদ রাজমোহন উন্নিথানকেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইন প্রণয়নের পর থেকে সব বিরোধী দলই তিন কৃষি আইনের প্রবল বিরোধিতা করছে। বিরোধীতার রাস্তায় হাঁটতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকেও। এদিকে এই চাপানৌতরের মাঝেই কেন্দ্রকে বিঁধে ফের কৃষি আইন নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় টুইট করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
কী বলছে সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট ?
কিন্তু লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রায় নিয়েই বর্তমানে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সংসদীয় কমিটির মতে, তিন কৃষি আইনের অন্যতম অত্যাবশ্যক পণ্য সংশোধনী আইন কার্যকর হলে চাষিদের আয় বাড়বে। তাই এই আইনের প্রতিটি ধারা কার্যকর করা উচিত বলে কমিটির মত।যা নিয়েই বর্তমানে বিতর্ক অব্যাহত গোটা দেশজুড়ে।
কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
সুদীপের নেতৃত্বাধীন এই খাদ্য, গণবন্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে কংগ্রেস, আপ, শিবসেনা, এনসিপি-র সাংসদরাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট পেশের সময় তারা কেউই বিরোধিতা করেননি। যদিও বিরোধীদের দাবি সুদীপ বন্দোপাধ্যায় না থাকায় বিজেপির অজয় মিশ্রের সভাপতিত্বেই বৃহস্পতিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রিপোর্টটি গৃহীত হয়। বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই ছিলেন বিজেপির।
পিছনের দরজা দিয়ে এই রিপোর্ট তৈরির চেষ্টা
তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের অভিযোগ পিছনের দরজা দিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান ব্যস্ত জেনেও ছলচাতুরি করে রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও বাকি দলের সাংসদরা রিপোর্ট পেশের সময় 'নোট অফ ডিসেন্ট' কেন দিলেন না সেই প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না। অন্যদিকে তৃণমূলের অবস্থানের কড়া নিন্দা করতে দেখা যায় কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লাকে। কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কৃষক সংগঠনগুলিও।
যেখানেই প্রকল্প, সেখানেই তৃণমূলের দুর্নীতি! ভোটের বাংলায় মমতাকে নিশানা মোদীর