সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজ্যসভার টিকিট প্রাপ্তি, কংগ্রস ছাড়লেন বিদ্রোহী নেতা কপিল সিবল
সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজ্যসভার টিকিট প্রাপ্তি, কংগ্রস ছাড়লেন বিদ্রোহী নেতা কপিল সিবল
চিন্তন শিবিরের পরেই বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। প্রবীণ নেতা কপিল সিবল ছাড়লেন কংগ্রেস। তিনি যোগ দিেলন সমাজবাদী পার্টিতে। সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজ্য সভার টিকিট পেয়েছেন কপিল সিবাল। অনেক দিন ধরেই তিনি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিেলন। শেষ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কংগ্রেস ছাড়লেন কপিল সিবল
শেষ পর্যন্ত আর হাইকামান্ডের সঙ্গে মতের মিল ঘটাতে পারলেন না। কংগ্রেস ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতেই আস্থা রাখলেন কপিল সিবল। গত কয়েক বছর ধরেই বিদ্রোগী হয়ে উঠেছিলেন িতনি। গান্ধী পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্য মেনে নিতে রাজি হচ্ছিেলন না তিনি। শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কপিল সিবল। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে কপিল সিবলের কংগ্রেস ছড়াকে বড় বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ দলের আরও বিদ্রোহী নেতাদের এক প্রকার রাস্তা দেখিয়ে দিলেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টিতে কপিল
শেষ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টিতই আস্থা রাখলেন কপিল সিবল। অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগাযোগ বাড়িয়েছিলেন কপিল সিবল। এই নিয়ে অনেক জল্পনাও শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজে যে অখিেলশ যাদবের উপরেই আস্থা রাখবেন সেটা এত দ্রুত অনেকেই ভাবতে পারেননি। যদিও সিবল দাবি করেছেন তিনি ১৬ মে কংগ্রেস ছেড়েছেন। তার আগেই কংগ্রেসের চিন্তন শিবির ছিল রাজস্থানের উদয়পুরে। সেখানে কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতারা সামিল হয়েছিলেন।
রাজ্যসভার প্রার্থী
কপিল সিবল সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হয়ে রাজ্য সভার মনোনয়ন জমা দিয়েেছন। বুধবার রাজ্য সভার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অখিলেশ যাদব। এবং সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক রামগোপাল যাদব। বুধবার সকালেই অখিলেশ যাদবের বাড়িতে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতা কপিল সিবল। অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেন তিনি। তারপরই মনোনয়ন পত্র জামা দিত যান তাঁরা। এবং তাঁর পরেই কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
কোন পথে এগোবে কংগ্রেস
চিন্তন শিবিরের পরেও দলে বিদ্রোহ কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। উল্টে কপিল সিবলের এই পদক্ষেপে আরও সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতারা অনেকেই দলবদলের পথে হাঁটতে পারেন। গুজরাতে ইতিমধ্যেই হার্দিক পাটেল কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাজস্থানে অশোক-সচিন দ্বন্দ্ব প্রকট। সেখানে কোন খাতে জল বইবে ভোটের আগে সেটাই এখন দেখার। গতকালই সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। তাতে রাহুল গান্ধীকে রাখা হয়নি। উল্টে প্রশান্ত কিশোরের প্রাক্তন দুই সহযোগীকে রাখা হয়েছে।
গরু পাচার মামালায় ফের সিবিআই তলব, হাজিরা এড়াতে পারেন অনুব্রত