ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল ঘিরে তুলকালাম কর্নাটকে, বিধানসভায় কী কাণ্ড করলেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার
ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল ঘিরে তুলকালাম কর্নাটকে, বিধানসভায় কী কাণ্ড করলেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার
ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল নিয়ে তুলকালাম চলছে কর্নাটক বিধানসভায়। তীব্র বিরোধিতায় কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার ছিঁড়ে ফেলে দেন বিলের কপি। তারপরেই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস বিধায়করা। গত ১৪ ডিেসম্বর কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন একটি নির্দিষ্ট দলের কথা ভেবেই এই বিল পেশ করা হয়েছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আইন আগে থেকেই রয়েছে। জোর করে ধর্মান্তকরণকে অপরাধ বলেই বিবেচনা করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করে পুলিশ। কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, কাজেই তারপরেও এই বিল পেশ করার কোনও অর্থই হয় না। এতেই স্পষ্ট যে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কথা ভেবেই এই বিল তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে এই বিলের বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীও এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন তাঁর দল কোনও ভাবেই এই বিলের সমর্থন করবে না। বলাগভি বিশপ ডেরেক ফার্নান্ডেজও এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ক্রিশ্চানদের বিরুদ্ধেই এই বিল তৈরি করেছে কর্নাটক সরকার। এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন এই বিল নিয়ে অতিমাত্রায় ভীত হওয়ার কিছু নেই।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, এই বিল ধর্মের অধিকার রক্ষা করার বিল। এতে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা কমবে। প্রতারণা করে ধর্মান্তকরণের সম্ভাবনাও কমবে এই বিল আইনে পরিণত হলে। আবার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের প্রবণতাও কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জোর করে ধর্মান্তকরণের সাজা এই বিলে ১০ বছর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কদের ওয়াকআউটের জেরে বিধানসভা অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। আগামিকাল ফের বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
এদিকে কর্নাটকে গত কয়েক দিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে বাসবরাজকে বসিয়ে কর্নাটকে দলীয় নেতাদের এক প্রকার বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহরা। মুখ্যমন্ত্রী পদ বদল করে একাধিপত্যের মানসিকতায় আঘাত হানাটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য এই নিয়ে মোদী-শাহরা বেশ পরিকল্পনা করেই কর্নাটকে পা ফেলেছে। কর্নাটক নিয়ে প্রথম থেকেই তৎপর ছিল বিজেিপ। সেকারণেই প্রথমে কংগ্রেস জেডিএস হাত মিলিয়ে সরকার গড়লেও সেটা বেশি দিন টেকাতে পারেনি। এক প্রকার বিজেপির রণকৌশলেই সেই সরকারের পতন হয়েছিল। তারপরে বিজেপি সরকার গড়ে কর্নাটকে। মুখ্যমমন্ত্রী করা হয় ইয়েদুরাপ্পাকে। কিন্তু সেইমুখ্যমন্ত্রী পদও বেশিদিন স্থায়ী থাকেনি ইয়েদুরাপ্পার। তাঁকে সরিয়ে বাসবরাজ বোম্মাইয়ে মুখ্যমমন্ত্রী পদে বসানো হয়।