নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত সরকারের, দাবি অধীরের
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত সরকারের, দাবি অধীরের
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী আজ নির্বাচনী বন্ডের জন্য একটি যাচাই কমিটি গঠনের দাবি তুললেন। শুক্রবার লোকসভা অধিবেশন শুরু হতেই এই নিয়ে দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা।
এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, "ইলেক্টোরাল বন্ডের সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা সম্ভব। সরকারের উচিত এই নির্বাচনী বন্ডের বিষয়ে একটি যাচাই কমিটি গঠন করে খতিয়ে দেখা উচিত।" তিনি আরও বলেন, "এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের টাকা তোলার ক্ষেত্রে অনেক কারচুপি করা সম্ভব। ইলেক্টোরাল বন্ডের এই বিষয়টির বিরোধিতা করেছে আরবিআই ও নির্বাচন কমিশন, দুই সংস্থাই।"
নির্বাচনী বন্ড বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশন শুরু থেকেই এই বিষয়ে আপত্তি তুলে সংসদ অচল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে কংগ্রেস। নির্বাচনী বন্ডকে কেলেঙ্কারি বলেও আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ঘুষের সঙ্গে তুলনা টেনে কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংসদে।
দুই বছর আগের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিলেন। প্রতি আর্থিক ত্রৈমাসিকে ১০ দিন সময়কালের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে কেনা যাবে এই নির্বাচনী বন্ড। লোকসভা ভোটের বছরে বন্ড কেনার জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় থাকবে। শেষ লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে যে সমস্ত দল অন্তত ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারাই এই সুযোগ পাবে।
২০১৭ সালের বাজেট পেশ করার সময় যখন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী নির্বাচনী বন্ডের কথা বলেন, তখনই সেটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তখন সিপিআই(এম)-এর তরফে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। সেই পিটিশনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের তরফে জবাবে দাবি করা হয়েছিল, এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান নেওয়ার মধ্যে স্বচ্ছতা আসবে।
কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, এই অভিযোগে সংসদ মুলতুবির প্রস্তাব তৃণমূলের