কাশ্মীর নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকল কংগ্রেস
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেই মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেই মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে। সংসদের ভেতরে এই বিলের সমর্থনে কেউ কথা না বললেও ব্যক্তিগত মত দাবি করে অনেক কংগ্রেস নেতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তড়িঘড়ি বৈঠক
তাই কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে মঙ্গলবার তড়িঘড়ি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। সম্ভবত মঙ্গলবার বিকেলেই অথবা বুধবার সকালেই বসবে এই জরুরি বৈঠক। ইতিমধ্যেই খবর পাঠানো হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের কাছে।
ঐক্যবদ্ধ নয় কংগ্রেস
কংগ্রেস সাংসদরা যে আর ঐক্যবদ্ধ নেই তা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে সোমবার। সংসদে মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাবের বিরোধিতায় গলা ফাটাতে দেখা গেছে গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম সহ কয়েকজন বর্ষিয়ান নেতাকেই। সোনিয়া গান্ধীতে সংসদ কক্ষ ছেড়েই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর কোনও কংগ্রেস নেতাকে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে মুখ খুলতে দেখা যায়নি।
অনেকের প্রকাশ্যে সমর্থন
সংসদ
থেকে
বেরিয়ে
অনেক
কংগ্রেস
নেতাই
সোশ্যাল
মিডিয়া
অ্যাকাউন্টে
এই
বিলের
সমর্থনে
কথা
বলেছেন।
যদিও
সেটি
তাঁদের
ব্যক্তিগত
মতামত
বলে
উল্লেখও
করেছেন।
গতকালই
কংগ্রেসের
চিফ
হুইপ
ভুবনেশ্বর
কালিটা
দলের
সিদ্ধান্তের
বিরোধিতা
করেছেন
প্রকাশ্যে।
এমনকী
কংগ্রেস
নেতা
অভিষেক
মনু
সিংভিও
৩৭০
ধারা
বিলোপের
সিদ্ধান্তের
বিরোধিতা
করতে
রাজি
হননি।
বিরোধিতা মেটাতে তড়িঘড়ি বৈঠক
প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ এবং কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী তো প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। দীপেন্দর হুডাও সমর্থন জানিয়েছেন সরকারের এই সিদ্ধান্তে। এই নিয়ে যখন দলের অন্দরেই দ্বিমত তৈরি হয়েছে তখন শৃঙ্খলা রক্ষার তাগিতেই ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের মানুষ বিচ্ছিন্ন নন, মেহবুবা-আবদুল্লাদের মুক্তির দাবিতে মুখ খুললেন মমতা]
[আরও পড়ুন:বঙ্গভঙ্গের সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন সোমেন, কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিতকরণে কটাক্ষ কেন্দ্রকে]