মিশন ২০১৯-এ একা লড়ে কত আসনে জিতবে কংগ্রেস! তার ভিত্তিতেই নয়া সমীকরণ
মিশন ২০১৯-এ দিল্লি দখলের লক্ষ্যে ছক তৈরি করে ফেলল কংগ্রেস। রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হল জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেই মোদী শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
মিশন ২০১৯-এ দিল্লি দখলের লক্ষ্যে ছক তৈরি করে ফেলল কংগ্রেস। রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হল জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেই মোদী শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। কারণ মাত্র ১৫০ আসনে একা লড়াই করার জায়গায় আছে কংগ্রেস। বাকি আসনে তাঁদের জোটসঙ্গীদের ছাড়া চলবে না।
তাই সার্বিকভাবে জোট গড়েই কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হটাতে লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পি চিদম্বরমের প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেই জোট গড়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন রাহুল। সোনিয়া গান্ধীও বিরোধী ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন বৈঠকে। আর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের মতই মেনে নিয়েছেন।
জোট প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, প্রতি কেন্দ্রেই ভোট-ভিত্তি বাড়াতে হবে। কারণ জানতে হবে, কেন ভোটাররা আমাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন, কেন মানুষ আমাদের ভোট দিচ্ছেন না। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মোট কথা, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন জোট গঠন করে লড়লেও কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাঁড়ানো শিখতে হবে।
এদিন পর্যালোচনায় উঠে আসে, কংগ্রেস ১২ রাজ্যে ১৫০টি আসনে একা লড়ে জিততে পারে। কিন্তু ১৫০ আসনে জিতলে তো আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা যাবে না। তাই এই অবস্থায় কী করণীয়। কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, যত বেশি সম্ভব সহযোগী দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে ১৫০টি আসনকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে।
রাহুল
গান্ধী
কংগ্রেস
সভাপতি
হিসেবে
ইনিংস
শুরুর
আগে
ভাবতেন,
একক
ক্ষমতাতেই
কংগ্রেস
ক্ষমতায়
আসতে
পারবে।
কিন্তু
পরপর
কয়েকটি
নির্বাচনে
হার
থেকে
শিক্ষা
নিয়ে
কংগ্রেস
বুঝেছে
মোদীকে
সরাতে
হলে
জোট
গড়েই
লড়তে
হবে।
সেইমতো
কংগ্রেস
সভাপতি
হওয়ার
পর
তিনি
রাজ্যে
রাজ্যে
সহযোগীদের
সঙ্গে
জোট
গড়ার
আলোচনা
এগিয়ে
নিয়ে
যেত
উদ্যোগী
হয়েছেন।
মোট
কথা,
কর্ণাটকের
বিধানসভা
নির্বাচন
থেকে
শিক্ষা
নিয়েই
রাহুল
জোট-ফর্মুলায়
লোকসভায়
বিজয়লাভ
করতে
চাইছে।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি নিজের হাতে সম্প্রতি তৈরি করেছেন রাহুল। প্রবীণ-তরুণের মিশেলে কংগ্রেসের নয়া ওয়ার্কিং কমিটি এদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জোট গড়েই কংগ্রেস পরিবর্তন ঘটাতে পারবে দেশে। মোদীকে হটাতে মিশন ২০১৯-এর জোট ফর্মুলা মেনেই তাই ভোট করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে গেল।
[আরও পড়ুন:'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা' মোদী যোগ্য জবাব পেয়েছেন আলিঙ্গনে! রাহুলে মজেছেন সাংসদ]