তিন দল থেকেই ২ জন করে মন্ত্রীর শপথ, রাতেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব
বদলে গিয়েছে পদ। এখন আর শুধু শিবসেনা প্রধান নন, রাজ্যের কর্মকর্তা তিনি। রাজ্য শাসনের গুরু দায়িত্ব এসে পড়েছে উদ্ধব ঠাকরের উপর। তাই এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করতে রাজি নন। আজ রাতেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ৬ মন্ত্রীকে নিয়ে বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। চুক্তি মেনে তিন দল থেকেই ২ জন করে বিধায়ক শপথ নিয়েছেন মন্ত্রী পদে।

উদ্ধব ছাড়াও ৬ মন্ত্রীর শপথ
শিবাজি পার্কে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধব ঠাকরের শপথের পরেই ৬ মন্ত্রীও শপথ নিয়েছেন। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি তিন রাজনৈতিক দল থেকেই ২ জন করে বিধায়ক মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, সুভাষ দেশাই শপথ নিয়েছেন মন্ত্রীপদে। এনসিপির দুই বিধায়ক জয়ন্ত পাটিল ও ছগন ভুজওয়াল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরট ও নীতিন রাউত। মন্ত্রিসভার বাকি মন্ত্রীরা শপথ নেবেন ৩ ডিসেম্বর। তবে অজিত পাওয়ার কবে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

জোটের চুক্তি
চুক্তি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়াও শিবসেনার কাছে আছে ১৫টি মন্ত্রিসভার পদ। এনসিপির কাছে আছে উপমুখ্যমন্ত্রী ও ১৩টি মন্ত্রী পদ। আর কংগ্রেসের হাতে আছে স্পিকার এবং ১৩টি মন্ত্রিসভার পদ। এর মধ্যে আবার ডেপুটি স্পিকারের পদটি পেয়েছে এনসিপি। প্রথম দিনেই চুক্তি মেনে তিন রাজনৈতিক দল থেকেই ২ জন করে মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। ৩ ডিসেম্বরের আগে আস্থাভোট করাতে হবে উদ্ধব ঠাকরেকে।

হাল ধরছেন উদ্ধব
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের সময় চাঁদের হাট বসেছিল শিবাজি পার্কে। উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও। তবে সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতি চোখে লেগেছে রাজনীতিকদের। তাতে অবশ্য আমল দিতে রাজি নয় জোট। উদ্ধবের শপথের আগেই সোনিয়া এবং রাহুলের শুভেচ্ছা পত্র পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে শপথ নেওয়ার পরেই আস্থাভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন উদ্ধবর ঠাকরে। সেকারণে রাতেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন তিনি।