বিধানসভা ভোটের আগে ‘ঘরে ঘরে বিজেপি’! নয়া কর্মসূচি নিয়ে দুয়ারে হাজির হবেন নেতারা
বিধানসভা ভোটের আগে ‘ঘরে ঘরে বিজেপি’! নয়া কর্মসূচি নিয়ে দুয়ারে হাজির হবেন নেতারা
বিধানসভা ভোটের আগে 'ঘরে ঘরে বিজেপি' নামে নয়া কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বিজেপি। এই কর্মসূচি নিয়ে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে হাজির হবেন নেতারা। ২০২৩-এর শুরুতেই বিধানসভা ভোট হবে ত্রিপুরায়। তার আগে বুথ স্তর থেকে 'ঘরে ঘরে বিজেপি' অভিযান শুরু হচ্ছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিধানসভা নির্বাচনের আগের সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি অন্যান্য পার্টির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই দলের আদর্শ উন্নয়ন এবং জনগণের সেবা করার মানসিকতা রয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজ্যব্যাপী ঘরে ঘরে বিজেপি কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলায় আগরতলার নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনের মাঠে, বড়দোয়ালি বিধানসভার কার্যকর্তা ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে সুশাসনের সরকার চলছে। এই সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কথা সাধরণ মানুষের কাছে পৌঁছনের লক্ষ্যেই 'ঘরে ঘরে বিজেপি' কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশ কতটা উন্নয়ত হয়েছে, তার উদাহারণ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এই ক্ষেত্রে তিনি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, রাজ্যে ড্রোন টেকনোলজি সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এখন রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা ড্রোন বানাচ্ছে। এটা আনন্দের বিষয়। 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মুখে দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও গর্বের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে তৈরি বাদ্যযন্ত্র এখন বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
ত্রিপুরা বিজেপি ঘরে ঘরে দেশের গর্বের কথা তুলে ধরবে। বিজেপির সরকার মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প এনেছে তার কথা বলবে। জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্প ও দশের উন্নয়নের কথায় তাঁরা মানুষকে বোঝাতে চান, দেশে এবং রাজ্যে বিজেপি ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। কেননা কেউই আর মানুষের কথা বিজেপির মতো ভাববে না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবার থেকেই ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে ব্যাপক সাড়া মিলতে শুরু করবে। ৩ ডিসেম্বর ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযান কর্মসূচি শুরু হবে। এই কর্মসূচির বিস্তৃত তথ্য পাঠানো হবে প্রমুখদের কাছে। সেখানে থেকে যাবে মণ্ডল নেতৃত্বের কাছে। পরে তা পৌঁছবে প্রদেশ কমিটির কাছে। এভাবে দলীয় সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন, কেউ যেন বিরোধীদের কোনও প্রকার উসকানিতে পা না দেন। সবার লক্ষ্য যেন উন্নয়নে সীমাবদ্ধ থাকে।