পঞ্জাবের বিখ্যাত কালী মন্দিরের সামনে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, শান্তি রাখতে বললেন মুখমন্ত্রী
পঞ্জাবের পাটিয়ালাতে ঘটা হিংসায় ঘটনায় নড়েচড়ে বসলেন মুখমন্ত্রী ভগবন্ত মান! একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি শান্তি রাখার জন্যে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মান। ঘটনার পরেই পুলিশ প
পঞ্জাবের পাটিয়ালাতে ঘটা হিংসায় ঘটনায় নড়েচড়ে বসলেন মুখমন্ত্রী ভগবন্ত মান! একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি শান্তি রাখার জন্যে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মান। ঘটনার পরেই পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নেন তিনি।
আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখমন্ত্রী। বলেন, গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্যে কাউকেই কোনও ধরণের অশান্তি করতে দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন পঞ্জাবের নয়া এই মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ঘটনার পরেই পাটিয়ালা ওই জোনের আইজি রাকেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি এবং গুজবের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার পরেই পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজি। এমনকি ঘটনার পর থেকে রুট মার্চ শুরু হয়েছে। পুলিশের তরফে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কোনও গুজবে যাতে কেউ কান না দেয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
রাকেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই শান্তি কমিটি'র সদস্যদের নিয়ে একটা মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে পুরো ঘটনার কড়া তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত এলাকা বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। একটি মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্র আকার নেয় পঞ্জাবের পাটিয়ালা। মূলত খালিস্তান বিরোধী একটি মিছিল হয় শিবসেনার তরফে।
পাতিয়ালার বিখ্যাত কালী মন্দিরের দিয়ে যাওয়ার সময় ওই মিছিলকে আটকানো হয়। স্থানীয় একটি শিখ সংগঠন ওই মিছিল আটকায় বলে অভিযোগ। আর এরপরেই মিছিল আটকানো নিয়ে সংঘাত এবং পরে যা রণক্ষেত্রের আকার নেই। আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দু'দলের সমর্থকরা একে অপরকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে বলে। এমনকি পরে তরোয়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়েও হামলা চলে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়। এমনকি লাঠিচার্জ করলেও সামাল দেওয়া যায় না বলে অভিযোগ। আর এই অবস্থায় পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় বলেও দাবি।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কিছুটা আয়ত্তে আসলেও উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে বিভিন্ন জায়গাতে পিকেট করে পুলিশ ক্যাম্প মোতায়েন করা হয়েছে। তবে যেভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে তাতে গত কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।