ভারত সীমান্তে চিনের কোন গ্রামগুলি লালফৌজকে বাড়তি সুবিধায় রাখছে! উত্তরপূর্বে পারদ চড়ছে
ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত ঘিরে ক্রমাগত একাধিক খবর উঠতে শুরু করেছে লাদাখ সংঘাতকে ফোকাসে রেখে। গতাকলই অরুণাচলের অন্দরে চিনের অভিসন্ধি ঘিরে তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এবার শোনা যাচ্ছে চিনের অন্দরে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের ঠিক বিপরীত দিকে যে গ্রামগুলি রয়েছে সেখান থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে লালফৌজ। যদিও বেজিংয়ের এই সমস্ত গতিপ্রকৃতির দিকে কড়া নজর রাখছে দিল্লি।
সীমান্তের কাছে নতুন করে একটি নির্মাণ কাজ গড়ে চলা চিনের লালফৌজের নয়া যুদ্ধনীতির অংশ। আর এবার লাদাখে শীতকালীন আবহে চিনের সৈনিকরা পিছপা হতেই সেই একই নীতি তারা উত্তরপূর্ব ভারতের সিকিম , অরুণাচলের লাগোয়া চিন সীমান্তের অন্দরে শুরু করেছে। বহু আগেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল যে , লাগাখে ব্যাকফুটে গিয়ে অরুণাচল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফোকাস বাড়াবে চিন। আর লাদাখে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে যেতেই সেই ছকেই লালফৌজ এগিয়ে যায়।
২০১৭ সালে ডোকলাম সংঘাতের পর থেকেই চিন সীমান্তের অন্তর্গত ভালরত লাগোয়া এলাকায় চিন একের পর এক গ্রাম তৈরি করেছে। বাড়ি থাকলেও, সেখানে জনবসতি লক্ষ্য করা যায়নি। আর এমনই কিছু গ্রাম এখন লালফৌজের ভরকেন্দ্র। এই গ্রামে কেবলই নির্মাণ কাজ পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে, নেই লোকজন। ফলে এগুলি যে চিনের স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে যুদ্ধনীতির অংশ তা বলাই বাহুল্য। ভারত সীমান্তের বিভিন্ন ফরোয়ার্ড এলাকায় চিনের এই ক্রমকাণ্ডের দিকে ভারতও কড়া নজর রাখছে। আর তা গকৃতকালই স্পষ্ট করেছে দিল্লি। ফলে চিন কোনও ভাবেই দিল্লির নজরদারির বাইরে থাকতে পারছে না এই নির্মাণ কাজ ঘিরে।