করোনা সংক্রমণের ফায়দা তুলেই লাদাখে ভারতীয় সেনার উপর চাপ সৃষ্টি চিনের?
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ২৭ দিন পরেও অব্যাহত। একদিকে যেমন লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিন সমারাস্ত্র মজুত করছে। তেমন ভাবেই ভারতও লাদাখ. সিকিম সহ ইন্দো-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে। ফলে উত্তেজনা কয়েকগুন বেড়েছে এলএসি-তে।

করোনার ফায়দা তুলেছে চিন
২০১৪ সাল থেকেই গরমে লাদাখের ওই অংশে সেনার প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। ফলে চিনকে মোকাবিলায় বাড়তি বাহিনীও থাকে সেখানে। কিন্তু এবার করোনার জেরে তা হয়নি বললেই চলে। আরসেই সুযোগেই চিন ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তে সেনা কম থাকার ফায়দা তুলেছে চিন।

সম্প্রতি বিবাদের কারণ
গত বছর ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবরুক-শিয়ক-ডিবিও রোড তৈরি করেছিল ভারত। তা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি৷ চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷

পরপর সংঘর্ষ ভারত ও চিনা সেনার
এদিকে কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উড়তে দেখা গিয়েছিল চিনা হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এরপর ফের চিন ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ আনে। গত ৫ ও ৬ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সরোবরের কাছে ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়।

উত্তেজনার পারদ চড়ছে
এরপর ৯ মে উত্তর সিকিমে ফের ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ হয়। সিকিমের নাথু-লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে চিনের সেনা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর ফলে চিনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় জওয়ান জখম হন।

সেনা বাড়াচ্ছে দুই পক্ষই
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সূত্রের খবর, লাদাখের কাছে এলএসি-তে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। গালওয়ান নালা এলাকায় শেষ দু'সপ্তাহে তারা ১০০টি টেন্ট তৈরি করেছে। লাদাখের দূরবুক গ্রামের মানুষরা বলছেন, প্রতি রাতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক-গাড়ি তারা চিনা সীমান্তে যেতে দেখেছে।
