চিন-পাকিস্তান কাবু হবে 'নাগ' দংশনে, সীমান্ত রক্ষার্থে ভারতীয় সেনার হাতে নয়া হাতিয়ার!
নাগ ক্ষেপণাস্ত্র৷ নামটা যেরকম বিষধর, কাজও সেরকম ধংস্বাত্বক। যে কোনও পরিবেশে, যেকোনও আবহাওয়ায় এটি ব্যবহার করা যায়৷ ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সিঙ্গল-শটেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে৷ এই মিসাইলটির উপর থেকেই ১৪ অগাস্ট পরদা উন্মোচন করেন রাজনাথ সিং। এলএসি থেকে এলওসি রক্ষা করতে সক্ষম এই নাগ মিসাইল।
ডিআরডিওর তৈরি নাগ
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের অধীনে থাকা ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি অংশ হল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি৷ এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড৷ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদনের জন্য তৈরি৷
এক মিনিটের মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ সম্ভব
প্রস্পিনা নামে নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের এই স্থল সংস্করণটি NAMICA (নাগ ক্ষেপণাস্ত্র ক্যারিয়ার) নামে পরিচিত একটি ট্র্যাকিং-কাম-লঞ্চ গাড়ি থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। লাইট ইনফ্যান্ট্রি ভেহিকল BMP-2 এ বসানো হয়েছে এই উৎক্ষেপণ সিস্টেম৷ এই গাড়ি একসঙ্গে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। প্রতিটি লঞ্চার এক মিনিটের মধ্যে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
কীভাবে কাজ করে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র?
কীভাবে কাজ করে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র? ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু স্থির করা যায়৷ থার্মাল ছবির মাধ্যমে এটি প্রথমেই শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে৷ লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর তার একটি থার্মাল রেফারেন্স ছবি নাগের সিকার সিস্টেমে সংরক্ষিত হয়ে যায়৷ এরপর ওই ছবির উপর ভিত্তি করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়৷
এ পি জে আবদুল কালামের হাতে নির্মাণ কাজ শুরু হয় নাগের
এ পি জে আবদুল কালামের অধীনে ১৯৮৮ সালে শুরু হয়েছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ৷ ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম এর পরীক্ষা করা হয়৷ কিছু সমস্যার জন্য মাঝে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়৷ ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ফের এর পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে এটি সাফল্য পায়৷
একটি ইউনিট তৈরি করতে খরচ ৩.২ কোটি টাকা
২০০৮ সালে রাজস্থানের পোখরানের টেস্ট রেঞ্জ থেকে এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়৷ তাতেও সফলতা মেলে৷ ওই বছরই ভারতীয় সেনা ৪৪৩টি নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অর্ডার দেয়৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটি ইউনিট তৈরি করতে খরচ ৩.২ কোটি টাকা৷