বিজেপি জোটের এনডিএ বড় ভাঙনের দোরগোড়ায়! মন্ত্রিসভা থেকে হরসিমরতের ইস্তফা গৃহিত
সংসদে কৃষিবিল পেশ করার সময় থেকেই বিজেপির পুরোনো জট শরিক শিরোমনি অকালি দল জানিয়েছিল 'বিজেপি যা বলবে তাতেই রাজি হয়ে যাওয়ার কোনও মানে নেই, ' যতই তাঁরা জোটসঙ্গী হোক না কেন, কৃষিবিল নিয়ে সংসদে অকালি দল বিজেপির বিরোধিতা করবে তা আগেই ঠিক করা হয়। এরপরই মধ্যরাতে চরম নাটকীয়তা দেখা দেয়। শিবসেনার পর বিজেপির আরও এক আঞ্চলিক রাজনীতির শক্তিধর জোট শরিক শিরোমনি অকালি দলের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এই সংঘাত ঘিরে পারদ চড়ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফা
লোকসভায়
২
টি
কৃষি
বিল
পাশ
হতেই,
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিগোষ্ঠী
থেকে
ইস্তফা
দিলেন
শিরোমনি
অকালি
দলের
নেত্রী
হরসিমরত
কৌর
বাদল।
শিরোমনি
অকালি
দলের
নেতৃত্বে
থাকা
বাদল
বংশের
এই
সদস্যের
ইস্তফা
এদিন
রাষ্ট্রপতি
রামনাথ
সিং
গ্রহণ
করে
নেন।
আর
তার
হাত
ধরেই
এনডিএ
জোট
বড়
ভাঙন
দেখতে
চলেছে
বলে
আশঙ্কা।
বাদলের বার্তা
ইস্তফা দিয়েই হরসিমরত জানিয়েছেন, কৃষি বিলের প্রতিবাদে নেমেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানান ' কৃষকদের মেয়ে ও বোন হিসাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তিনি গর্বিত।'
পাঞ্জাবের রাজনীতি , এনডিএ ও বিরোধিতাদের খোঁচা
এর আগে, পাঞ্জাবের রাজনীতি কৃষিবিল ঘিরে উত্তপ্ত হতে থাকে। শিরোমনি অকালি দলের বিদেপি বিরোধিতা দেখে কংগ্রেসরে তরফে অমরিন্দর সিং বলেন, এতই যদি কৃষিদরদ থাকে শিরোমনি অকালি দলের,তারা তাহলে এনডিএ ছেড়ে চলে আসুক। যদিও মন্ত্রিসভা থেকে শিরোমনি অকালি দল পদ ছাড়লেও, এনডিএ জোট থেকে তারা বেরিয়ে আসবে না বলে জানিয়েছে।
সংসদ ও বিল
সংসদের নিম্নকক্ষে যে দুটি বিল পাশ হয়েছে তা মূলত কৃষির বাজারের ক্ষেত্রে সংস্কারকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, এই বিল লাইসেন্স রাজ-কে নিশ্চিহ্ন করবে। এবং কৃষকেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।