
শীতকালীন অধিবেশনে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত? সুপ্রিম কোর্টে সময় চাইল কেন্দ্র
আগামী শীতকালীন অধিবেশনে ভারতীয় দণ্ডবিধির 124 (A) ধারার অধীনে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পরিবর্তন করা হতে পারে। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা হয়। আজ সোমবার বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতকে নিয়ে গঠিত তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।
আর সেখানেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বদল আনা হতে পারে আদালতে জানায় কেন্দ্র। এজন্যে সময় আদালতের কাছে তা মঞ্জুর হয়েছে বলেই খবর। অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটমণি কেন্দ্রের হয়ে আজ সোমবার শুনানিতে অংশ নেন।

সময় চেয়েছেন অ্যান্টনি জেনারেল-
প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সওয়ালে কেন্দ্রের হয়ে অ্যান্টনি জেনারেল বলেন, শীতকালীন অধিবেশন পজন্ত কেন্দ্রকে সময় দেওয়া হোক। এই বিষয়ে কিছু একটা ঘটবে বলেও আদালতকে জানান সরকারি আইনজীবী আর ভেঙ্কটমণি। শুধু তাই নয়, সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার দেশদ্রোহ আইনে করবে বলেও জানিয়েছেন অ্যান্টনি জেনারেল। যদিও আদালত এই বিষয়ে সরকারকে সময় দিয়েছে বলেই খবর।

আইন নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে
বলে রাখা প্রয়োজন, দেশদ্রোহ আইন নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেও সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন আর ভেঙ্কটমণি। এমনকি দেশদ্রোহ আইনের কোনও অপব্যবহার হবে না বলেও সুপ্রিম কোর্টকে আস্থা দেয় সরকার। শুনানিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন অ্যান্টনি জেনারেল। যার মধ্যে ১১ মে-য়ে সুপ্রিম কোর্টের একয়টি পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেন তিনি। বলে রাখা প্রয়োজন, সেই পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নিরাপত্তা সবার সুনিশ্চিত করতে হবে। এবং যে ভয় তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে। সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হয় বলে খবর।

আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে অভিযুক্ত-
ভারতীয় দণ্ডবিধির 124A ধারা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন। এর আগে মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিল, যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার এই বিষয়ে সদ্ধান্ত নিচ্ছে ততদিন এই আইনে জেলে বন্দি অপরাধীরাও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তবে বর্তমানে যতদিন পর্যন্ত না ব্রিটিশ আমলের পুরনো এই আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই আইনের প্রয়োগকে স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, যতদিন না আইন পুনর্বিবেচনা হচ্ছে, ততদিন এই আইনের ধারা অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এবং এখনও পর্যন্ত এই আইনের অধীন যে সমস্ত মামলা চলছে, তা স্থগিত হয়ে যাবে। এবং যারা এই আইনের ফলে বন্দিদশা ভোগ করছেন তারা জামিনের আবেদন করতে পারবেন।