করোনার কবলে গোটা দেশ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ প্রতিনিধি দল গঠন কেন্দ্রের
করোনায় নজর রাখতে বিশেষ দল
২০২১ সালের শেষ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবী তথা ভারত জুড়ে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। গোটা দেশজুড়ে করোনা রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ। গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে বিশেষ দল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, যেসব রাজ্যে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি সেই সব রাজ্যগুলোতে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো এই বিশেষ দলগুলি।
কোন জায়গায় পজিটিভিটি রেট?
লাগাতার বেড়েই চলেছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশজুড়ে করোনা পজিটিভিটি রেটও। এই মুহূর্তের সমীক্ষার কথা যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে পজিটিভিটি রেট অনেকটা বেশি। জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের পজিটিভিটি রেট ২২ শতাংশ। কর্নাটকে পজিটিভিটি হার এক মাস আগে ছিল ০.৫ শতাংশ। এক মাস পর এক লাফে পৌঁছে গিয়েছে ১৫ শতাংশে। তামিলনাড়ু ও কেরালায় পজিটিভিটির হার ২০ ও ৩২ শতাংশ। দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৬ শতাংশের বেশি। পজিটিভিটির এই হার দেখে আতঙ্কিত সকলেই।
করোনার কবলে রাজ্যগুলি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, গোটা দেশজুড়ে সংক্রমণ যেভাবে দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর আগের বারের মতই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমনের তালিকায় উপর দিকে রয়েছে, মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ,উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, ওড়িশা, দিল্লি ও রাজস্থান। বিশেষত মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি তথৈবচ। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের অধিকাংশই এই রাজ্যের।
দেশের বর্তমান করোনা গ্রাফ
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩২ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের। পাশাপাশি দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৯০ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৪ হাজার ০৫১। ভারতের করোনা পজিটিভিটি হার রয়েছে ১৫.৪১ শতাংশ। সেই সঙ্গে লাগাতার বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে এক দিনে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৮৭ জন।