পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় জোর সিবিএসই-র, স্কুল কর্মচারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক
দেশের সমস্ত সিবিএসই বোর্ডের স্কুলের কর্মচারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও সাইকোমেট্রিক মূল্যায়ণ করাতে হবে। গুরুগ্রামকাণ্ডের পর স্কুলের ভেতরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এমনই নির্দেশিকা জারি।
দেশের সমস্ত সিবিএসই বোর্ডের স্কুলের কর্মচারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও সাইকোমেট্রিক মূল্যায়ণ করাতে হবে। গুরুগ্রামকাণ্ডের পর স্কুলের ভেতরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এমনই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় এই বোর্ড। এমনকী দিল্লি প্রশাসনও সমস্ত বেসরকারি স্কুলের অশিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করেছে।
[আরও পড়ুন: পুনরায় খুলল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল, তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কায় নিহত প্রদ্যুম্নের পরিবার]
সম্প্রতি গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের নৃশংস হত্যার পরই স্কুলের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কুলবাসের খালাসি অশোক কুমারের কীভাবে পড়ুয়াদের টয়লেটে ঢুকল সেই প্রশ্নও রয়েই গিয়েছে। সেইসঙ্গে তার কোনও অতীতের পুলিশ রেকর্ড রয়েছে কিনা তাও স্কুল কর্তৃপক্ষ যাচাই করেনি। এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার পরই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে সিবিএসই।
অপরদিকে দিল্লি সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই সমস্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সমস্ত স্কুলকে সিসিটিভির কার্যকারী নিয়ে স্থানীয় থানায় মাসিক রিপোর্টও জমা দিতে হবে।
এদিকে প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যার ১০দিন পর সোমবার রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খোলা হয়। কিন্তু দেখা যায়, এতকিছুর পরেও নিরাপত্তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। ফলে সন্ধের আগেই ফের স্কুল বন্ধ করে দেয় গুরুগ্রাম প্রশাসন। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, এই ১০দিনেও স্কুলের নিরাপত্তা ব্য়বস্থায় কোনও উন্নতিই হয়নি। এখনও একদিকের পাঁচিলের অংশ ভাঙা, যেখান দিয়ে বহিরাগতরা সহজেই ভেতরে ঢুকতে পারে। সেইসঙ্গে এখনও পর্যন্ত বাসচালক ও খালাসিরা পড়ুয়াদের টয়লেটই ব্যবহার করছে বলে দেখা যায়।