রাজ্যের পর কেন্দ্রেও প্রশ্ন কেলেঙ্কারির আঁচ, দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে
ফের সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির ইকনমিক্স পরীক্ষা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হল সিবিএসই-র তরফে।
প্রশ্নফাঁস-কাণ্ডে ভোলবদলে পুনরায় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল সিবিএসই বোর্ড। ফের সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির ইকনমিক্স পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে পড়েছে কেন বারবার প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা ঘটছে? এর আগে মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তারপর ফের সিবিএসই বোর্ডেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তথন তা আমল দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হস্তক্ষেপ করার পর সিবিএসই বোর্ডের ঘুম ভাঙে। সিবিএসই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় পুরনো পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নে ফের পরীক্ষা নেওয়ার। সেইমতো এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হবে বলে সিবিএসই সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা খুশি হয় পরীক্ষা দিয়ে। পরীক্ষায় সহজ প্রশ্ন হয়েছিল বলে জানায় ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু পরীক্ষা শেষের দু-ঘণ্টার মধ্যে বোর্ড জানিয়ে দিল, অঙ্ক পরীক্ষা ফের নেওয়া হবে।
তার কারণ হিসেবে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতেই সিবিএসই বোর্ডের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। তার প্রমাণ তারা পেয়েছেন। সেই কারণেই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের দিন ফাঁস হওয়া প্রশ্ন আর এদিনের পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু এক হওয়াতেই পুনরায় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বলে জানায় বোর্ড।
একইসঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির ইকনমিক্স পরীক্ষাও ফের নেওয়া হবে জানিয়েছে সিবিএসই। এক্ষেত্রেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এবং সেই অভিযোগকে মান্যতা দেয় সিবিএসই বোর্ড। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষায়। তা নিয়ে তোলাপাড় হয়েছিল দেশ।
এদিন ফের একই অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় সরকার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল। দিল্লির আপ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও টুইট করে এই প্রশ্নফাঁসের সত্যতার জানান দিয়েছিলেন। কিন্তু বোর্ড তা অস্বীকার করে। যদিও এদিন সেই অভিযোগকে সত্য বলে মেনে নিয়ে ফের পরীক্ষার নিদান দিল বোর্ড। কেন্দ্রের নির্দেশেই পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজ্যে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট আগে খুলে তা থেকে প্রশ্ন বের তরে উত্তর তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর স্কুলের ফার্স্ট বয়কে এইভাবে উত্তর লিখে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখছে কেন প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ব্যর্থ হল পর্ষদ।