ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখলেন মাত্র একটা ভোট পেয়েছেন! গণনা কেন্দ্রের সামনেই কেঁদে ভাসালেন প্রার্থী
ভোটের লড়াই বলে কথা! একেবারে দিন রাত এক করে প্রচার। কখনও মানুষের দরজায় গিয়ে গিয়ে তো আবার কখনও দলের কর্মীদের বৈঠক। নির্বাচনে লড়াই খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু সেই কাজ করে দেখিয়েছেন এক প্রার্থী। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন যা ঘটল তা কল্পনারও বাইরে।

এমনও যে তাঁর সঙ্গে ঘটতে পারে তা ভাবতেও পারেননি ওই ব্যক্তি। আর তাই ফল প্রকাশ হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি! ভাবছেন তো এমন কি হল! সত্যি ভাবার মতোই ঘটনা।
গুজরাতের ভাপি জেলাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। আর সেই নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার জন্যে মনোনয়ন জমা দেন স্থানীয় যুবক সন্তোষ। ভাপি জেলার ছারওয়ালা গ্রামের সারপাঞ্চ হওয়ার দৌড়ে সামিল হন এই সন্তোষ। আর সেই মতো ভোটে লড়ছেন আর প্রচার করবেন না তাই কি হয়!
আর সেজন্যে গত কয়েকদিন ধরে একেবারে সকাল সন্ধ্যে প্রচার করেছেন। মানুষের কাছে গিয়েছেন। সন্তোষ অন্তত মনে করেছিল তাঁকে গ্রামের কেউ ভোট দিক আর না দিক তাঁর পরিবার পাশেই থাকবে এই লড়াইয়ে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যে এমন অঘটন ঘটবে তা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি এই সন্তোষ।
ফল প্রকাশের পর দেখা যায় সন্তোষ মাত্র একটা ভোট পেয়েছে! আর কেউই তাঁকে ভোট দেয়নি। এমনকি তাঁর পরিবারও নয়। সন্তোষের পরিবারে ১২ জন সদস্য। সে ভাবে এগুলি তাঁর নিজস্ব ভোট। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা কেউ যে তাঁকে ভোট দেবে না তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। কিন্তু একটা ভোট তাঁকে দিল কে? এমনই ভাবছেন তো। ভাবার মতোই বিষয়।
ওই একটি ভোট আসলে তাঁর নিজের। সে নিজেই নিজেকে ভিট দিয়েছে। আর কেউই তাঁকে ভোট দেয়নি। সব চেষ্টাই ব্যর্থ তাঁর। আর এরপরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। গণনা কেন্দ্রের সামনেই রীতিমত কাঁদতে থাকে সন্তোষ। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
গত কয়েকদিন আগে গুজরাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন ছিল। প্রায় ৮ হাজার ৬০০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার। গুজরাতের বিভিন্ন কেন্দ্রে এই গণনা চলে। আর সেখানেই ভাপি জেলার ছারওয়ালা গ্রামের একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
