জঙ্গি অনুপ্রবেশে পাকিস্তানের ছক বানচাল, জম্মুর আরনিয়ায় সুরঙ্গের খোঁজ, উদ্ধার অস্ত্র
১৪ ফুটের সুরঙ্গ আবিষ্কার করল বিএসএফ। পাকিস্তানের দিক থেকেই সুরঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। জম্নু ও কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরের ঘটনা। জম্নু কাশ্মীরের এই সীমান্তেই দিন কয়েক ধরে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান
১৪ ফুটের সুরঙ্গ আবিষ্কার করল বিএসএফ। পাকিস্তানের দিক থেকেই এই সুরঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। জম্নু ও কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরের ঘটনা। জম্নু ও কাশ্মীরের এই সীমান্তেই দিন কয়েক ধরে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা।
সীমান্তে দুপক্ষের গোলমাল থামাতে আগের দিনই বৈঠক হয়েছে পাকিস্তানি রেঞ্জার এবং বিএসএফের। এরপর শনিবার ১৪ ফুট সুরঙ্গের খোঁজ পেল বিএসএফ। গত সাতমাসের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এনিয়ে এটি দ্বিতীয় সুরঙ্গ, যার খোঁজ পেল বিএসএফ। এর আগের সুরঙ্গটি পাওয়া গিয়েছিল সাম্বার রামগড় সেক্টরে।
সীমান্তে বেড়ার ঠিক নিচেই পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের দিকে এই সুরঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। বিএসএফ আধিকারিকের দাবি, উৎসবের মরসুমে খুব বেশি সংখ্যায় জঙ্গিদের ভারতে ঢোকাতেই সুরঙ্গ তৈরি করেছিল পাকিস্তান।
জম্মুর এলাকার বিএসএফের পদস্থ আধিকারিক রাম অবতার জানিয়েছেন, টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে। পাকিস্তানের দিকে ধমলা নালার কাছে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী নজরে আসে টহলদারী জওয়ানদের। সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালায় বিএসএফ। সুরঙ্গের দিকে এগোতেই পাকিস্তানের বাহিনী খুব বেশি মাত্রায় মর্টার ছুঁড়তে থাকে। বিএসএফ পাল্টা জবাব দেয় এবং নিজেদের অবস্থানেই বজায় থাকে।
বিএসএফ জওয়ানরা ১৪ ফুট গভীর ওই সুরঙ্গের খোঁজ পান। যার উচ্চতা ৩ ফুট এবং ২.৫ ফুট চওড়া। সুরঙ্গে জঙ্গিদের ব্যবহার করা বেশ কিছু জিনিসও বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। গ্রেনেড, একে ৪৭-এর গুলি ছাড়াও স্লিপিং ব্যাগ, মাটির খোঁড়ার জিনিস এবং তৈরি খাবারের খোঁজ পায় বিএসএফ।
দিন দুই-তিন আগে জঙ্গিরা এই সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করে বলে অনুমান বিএসএফের।
গত কয়েক সপ্তাহে বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের পরেই নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশের এই চেষ্টা। গত ১৫ দিনে পাকিস্তানের গোলাগুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান বিজেন্দর বাহাদুর এবং এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।