কেরলেও বুরারির ছায়া! অদ্ভুত অবস্থায় মিলল একই পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ
কেরালা মধ্যে তাদের বাড়ির পিছনে একটি গর্ত থেকে একটি পরিবারের ৪ জন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহগুলি একটি অপরটির উপর চাপান অবস্থায় ছিল।
ফের বুরারি কাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল কেরলের ইদ্দুকি জেলা। এক বাড়ির পেছনের বাগানে মিলল একই পরিবারের চারজনের দেহ। দেহগুলি একটি আরেকটির উপর চাপান ছিল। পুলিশের অনুমান এই ঘটনার পিছনে তন্ত্রমন্ত্রের প্রভাব থাকতে পারে। আপাতত ময়নাতদন্ত করে তাদের মৃত্যুর কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।
মুন্দনমুদি এলাকায় একটি রবার এস্টেটে বেশ জনবিরল এলাকাতেই থাকত ওই পরিবার। গত ২৯ তারিখের পর থেকে পব়িবারের চারজনের কাউকে দেখেননি প্রতিবেশীরা। বুধবার তাদর কিছু আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে তাঁরা মেঝে ও দেওয়ালের কিছু অংশের রক্তের দাগ দেখেন। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে তল্লাশি শুরু করে। বাড়ির পিছনে বাগানের একটি অংশে আলগা মাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা সেখানে খনন করে। তাতেই একটি গর্ত থেকে আবিষঅকার হয় চারটি দেহ। দেহ গুলি একটি আরেকটির উপর চাপান অবস্থায় ছিল। আত্মীয়-প্রতিবেশিরাই দেহগুলি ৫২ বছরের কৃষ্ণাণ ও তাঁর স্ত্রী ৫০ বছরের সুশীলা এবং তাঁদের দুই ছেলে মেয়ে ২১ বছরের আর্শা ও ১৯ বছরের অর্জুন বলে সনাক্ত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে দেহগুলিতে আঘাতের চিহ্নও ছিল। বাড়ি থেকে একটি হাতুরি ও একটি ছুড়ি মিলেছে। দেহগুলি কোট্টায়ামের মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে তাঁদের হত্যাই করা হয়েছে। তবে, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে বাড়ির কর্তা কৃষ্ণাণ কালা জাদুর চর্চা করতেন। তাই এর পিছনে কোনও তন্ত্র মন্ত্রও দায়ী থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
কালা জাদুর প্রসঙ্গ উসকে দিয়েছে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের স্মৃতি। গত মাসের ওই ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন সদস্য একসঙ্গে মারা গিয়েছিলেন। ওই কাণ্ডে পরিবারে তন্ত্র মন্ত্রের চর্চার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।