ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলার প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি শিবসেনার
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপিকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপিকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। আজ মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সেনার ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলার যৌক্তিকতা বোঝাতে সাংবদিকদের তিনি বলেন, "আমরা কেন ফিফটি ফিফটি ক্ষমতা বন্টণ চাইব না? আর এখন বিজেপি কোন যুক্তিতে এই বিষয়টি অগ্রাহ্য করছে তারা? এটা তো শুরুতে আমাদের দাবি ছিল না। এটা তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছিল। তাদের এই বিষয়টি বুঝতে হবে। তারা লোকসভা নির্বাচনের আগে আমাদের এই সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আপনি গণমাধ্যমের সামনে বলা কথা মুছে ফেলতে পারেন না। আপনি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে দিতে পারেন, ফআইল গায়োব করে দিতে পারেন, মন্ত্রকে আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু এই শব্দ কি করে মুছবেন। এই চুক্তি কী করে খণ্ডন করবেন?"
মুখ্যমন্ত্রিত্ব ও মন্ত্রক বন্টণ নিয়ে বিজেপি এবং সেনার মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যেই আজ রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গঠনের আবেদন জানাতে জাচ্ছেন বলে গুজব রটলেও বিজেপির তরফে জানানো হয় দিওয়ালি উপলক্ষে সৌজন্য় সাক্ষাৎ করতেই রাজভবন যান ফড়নবিশ। সেনার পক্ষেও আজ এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি-সেনা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠনের প্রসঙ্গ ঝুলে সেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে টানাপোড়নের মধ্যে। সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গে জলঘোলা শুরু হতেই জোটের ভবিষ্যত নিয়েও উঠে গেছে প্রশ্ন। বিজেপি শিবিরের খবর, শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। যদিও সেনা শিবির তাদের ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় অনড়।
গত নির্বাচনে আলাদা লড়েছিল দুই দল। এরপর কোনও দল সংখ্যাগরিষ্টতা না পাওয়ায় জোট গঠন করে সরকার চালায় দুই দল। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব বন্টণের ক্ষেত্রে বিধায়কদের সংখ্যার অনুপাতের ফর্মুলা গ্রহণ করেছিল বিজেপি-সেনা জোট। প্রতিটি ১২ জন বিধায়কের জন্য একজন করে পূর্ণ মন্ত্রী ও ৬ জন বিধায়কের জন্য থাকবে একজন করে জুনিয়র মন্ত্রী। এই সমীকরণেই মন্ত্রিসভা গঠন করে পাঁচ বছর সরকার চালান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এই বারও বিজেপি সেই ফর্মুলায় সরকার গঠনের কথা বলছে। এদিকে গতবারের তুলনায় ৭ ও ১৭টি আসন কম পেয়েছে। সেই হিসাবে গতবারের ১৮ জন মন্ত্রীর জায়গায় বিজেপির হওয়ার কথা ১৭ জন মন্ত্রী। অপর দিকে সেনার মন্ত্রী সংখ্যা একজন কমে দাঁড়াবে পাঁচ-এ।