সাংবাদিকের মাধ্যমে পাকিস্তানে তথ্য পাচার! প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ছবি প্রকাশ্যে আনল বিজেপি
সাংবাদিকের মাধ্যমে পাকিস্তানে তথ্য পাচার! প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ছবি প্রকাশ্যে আনল বিজেপি
ভারতের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে পাক সাংবাদিকের যোগ নিয়ে ফের কংগ্রেসের ওপর চাপ বাড়াল বিজেপি। অভিযোগ ভারতের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের যোগ ছিল। সেই সাংবাদিক আনসারির কাছ থেকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে দিতেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ করেছে। যেখানে হামিদ আনসারির সঙ্গে পাকিস্তানের ওই সাংবাদিককে একই মঞ্চে দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
হামিদ আনসারির বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ
পাক সাংবাদিকের দাবি ইতিমধ্যে অস্বীকার করেছেন ভারতের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। সম্প্রতি বিজেপি একটি ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানে হামিদ আনসারি ও পাকিস্তানের ওই সাংবাদিককে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি জানানো হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হামিদ আনসারি পাকিস্তানের ওই সাংবাদিককে দিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়ে কেন্দ্রের তদন্ত করা উচিত। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে। শুক্রবার বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মলনে দলের মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া জানান, ২০০৯ সালে একটি সম্মেলনে হামিদ আনসারিকে মির্জার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল হতে হয়। মির্জার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করা ঠিক হয়নি হামিদ আনসারির বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার কংগ্রেসের
কংগ্রেস বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে দিল্লির জামা মসজিদে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে মসজিদের শাহি ইমাম ডক্টর ফারুক আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হামিদ আনসারিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানের ওই সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য অতিথির মতো ওই সম্মেলনে হামিদ আনসারি উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলনেই পাক সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তবে তিনি কোনওদিন পাক সাংবাদিককে ভারতে আমন্ত্রণ জানাননি।
পাকিস্তানি সাংবাদিকের বক্তব্য
সম্প্রতি পাকিস্তানের সাংবাদিক নুসরত মির্জা দাবি করেছেন, ইউপিএ-এর শাসনকালে তিনি পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন। ভারত থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। যা তিনি পরবর্তীকালে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে তুলে দেন। মির্জা দাবি করেছেন, আনসারির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। হামিদ আনসারি তাঁর সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিলেন। তিনি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মির্জার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেই তথ্য মির্জা পরে আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যদিও পাক সাংবাদিক নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পেশ করেননি।
কাকে ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, 'টুইস্ট’-এ জল্পনা বাড়ালেন 'তৃণমূল সাংসদ’ দিব্যেন্দু