রাহুল গান্ধীর টি শার্ট বনাম নরেন্দ্র মোদীর স্যুটের দাম, টুইটারে রণংদেহি কংগ্রেস ও বিজেপি
রাহুল গান্ধীর টি শার্ট বনাম নরেন্দ্র মোদীর স্যুটের দাম, টুইটারে রনংদেহি কংগ্রেস ও বিজেপি
রাহুল গান্ধীর একটি টি শার্টের দামকে নিশানা করে বিজেপি আক্রমণ করল। রাহুল গান্ধী একটি বারবেরির টি শার্ট পরেছিলেন। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই টি শার্টের দাম ৪১,০০০ টাকা। এত দামি টি শার্ট পরার জন্য রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করল বিজেপি। পাল্টা কংগ্রেস টুইটে মোদীর স্যুটের দাম ১০ লক্ষ টাকা, তা মনে করিয়ে দেয়।
নিশানায় রাহুল গান্ধীর টি শার্ট
টুইটারে বিজেপির এক প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন। সাদা বারবেরি টি শার্ট পরা রাহুল গান্ধীর ছবির সঙ্গে বিজেপি নেতা একই ধরনের বারবেরি টি শার্টের ছবি প্রকাশ করেন। সেখানে টিশার্টটির দাম লেখা রয়েছে ৪১,০০০ টাকা। বর্তমানে রাহুল গান্ধী 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচিতে রয়েছেন। সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা লেখেন 'ভারত দেখো'। যদিও পাল্টা কংগ্রেসের তরফে জবাব এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর একটি স্যুটের দাম ১০ লক্ষ টাকা।
পাল্টা কংগ্রেসের দাবি
টুইটারে কংগ্রেসের তরফে বিজেপিকে কটাক্ষ করে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা থাকে, 'ভারত জোড়ো যাত্রার ভিড় দেখে আপনারা ভয় পেয়েছেন? বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এধরনের ইস্যু নিয়ে কথা বলুন। যদি পোশাক নিয়ে আলোচনা করতেউ হয়, তাহলে মোদীর স্যুটের দাম ১০ লক্ষ টাকা। চশমার দাম ১.৫ লক্ষ টাকা। এগুলো ভুললে চলবে না।'
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ
ভারত জোড়ো মিছিল থেকে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, 'দেশের অভ্যন্তরে দুটো মতাদর্শ রয়েছে। এই দুই মতাদর্শের মধ্যে হাজার হাজার বছর ধরে লড়াই চলে আসছে। ভবিষ্যতেও এই দুই মতাদর্শের মধ্যে লড়াই চলবে। আমরা আমাদের মতাদর্শ পালন করছি।' তিনি অভিযোগ করেন, 'বিজেপি সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সব জায়গায় নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে। বিজেপি বিরোধীদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই লড়াই মোটেই সহজ নয়। তবে আমরা এই লড়াই করতে প্রস্তুত।'
ভারত জোড়ো কর্মসূচি
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই কংগ্রেস এই 'ভারত জোড়ো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মসূচির সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। দেশকে এক সূত্রে গাঁথতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৫০ দিনের এই কর্মসূচিতে ৩৫৭০ কিলোমিটার অতিক্রম করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রায় রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাত্রাপথে তাঁরা কোনও হোটেলে থাকবেন না। তাঁদের জন্য ৬০টি কন্টেনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এসি, শৌচালয় সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে। কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত এই যাত্রা পথ নির্ধারিত করা হয়েছে। প্রতিদিন কংগ্রেস নেতাদের ২২ থেকে ২৩ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
ফের কংগ্রেসের সভাপতি! 'ভারত জোড়ো’ কর্মসূচি থেকে কী বললেন রাহুল গান্ধী