কংগ্রেস-তৃণমূলকে সরিয়ে ত্রিপুরায় বামেদের প্রধান বিরোধী বিজেপি-ই
প্রধান শাসক দল বামেদের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল এমনকী বাম দল থেকেও বহু নেতা-কর্মী পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছে। ফলে ভোটে সিপিএমের মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে
সদ্যসমাপ্ত দুটি উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ঠেলে বিজেপি দ্বিতীয় সর্বোত্তম শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। তৃণমূলকে হারাতে না পারলেও কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। এবার আর এক বাম রাজ্য ত্রিপুরাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
প্রধান শাসক দল বামেদের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল এমনকী বাম দল থেকেও বহু নেতা-কর্মী পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছে। যার জেরে আগামী বিধানসভা ভোটে সিপিএমের মূল লড়াই হবে বিজেপির সঙ্গেই।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি সুদীপ রায় বর্মন বলেছেন, কংগ্রেস আদতেই সিপিএমের সঙ্গে লড়তে উতসাহী নয়। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিই সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করবে।
বিজেপির দাবি, এবারে লড়াই যে সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির তা পলিটব্যুরো নেতা প্রকাশ কারাট নিজে স্বীকার করেছেন। দক্ষিণ ত্রিপুরায় সভা করে কারাট বলেছেন, কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে ভিড়েছেন। ফলে এবার মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে।
সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে ছয় কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যা নিয়ে ত্রিপুরা কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস দে বলেছেন, এরাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তর জন্য দায়ী সিপিএম। মানিক সরকারের দলের ভুল নীতিতেই বিজেপি এরাজ্যে ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
বিজেপি এরাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ৫১টিতে প্রার্থী দিয়েছে। বাকী ৯টি কেন্দ্রে জোটসঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা লড়ছে। তপশিলি এলাকায় ২০টি আসনে বিজেপি ভালো ফল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিপিএমের হাত থেকে ত্রিপুরা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি। আর সেজন্যই ইতিমধ্যে রাজ্যে ভিড় করে ফেলেছেন রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানির মতো নেতা-নেত্রীরা। অন্যদিকে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীও ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যাবেন। ফলে বিজেপি কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে সন্দেহ নেই।