‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, লোকসভার স্লোগানেও ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বিজেপির
লোকসভা ভোটের আগে স্লোগান বদল করল বিজেপি। ২০১৯-এ বিজেপি ঠিক করেছিল এবার স্লোগান হবে ‘আব কি বার ৪০০কি পার’। কিন্তু ২৬/২-এর পর সেই স্লোগান ফের বদলে গেল।
লোকসভা ভোটের আগে স্লোগান বদল করল বিজেপি। ২০১৪-য় বিজেপির স্লোগান ছিল 'হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী'। আর ২০১৯-এ বিজেপি ঠিক করেছিল এবার স্লোগান হবে 'আব কি বার ৪০০কি পার'। কিন্তু ২৬/২-এর পর সেই স্লোগান ফের বদলে গেল। এবার বিজেপির স্লোগান হচ্ছে 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়'।
অর্থাৎ পারলে মোদীই পারবেন। মোদী ভিন্ন আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আসন্ন লোকসভা ভোটে এই মন্ত্রকেই হাতিয়ার করছেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে নতুন স্লোগান তুলে দেওয়া হয়েছে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর। অর্থাৎ দেশভক্তির আবেগকে কাজে লাগিয়েই মাত দিতে বদ্ধপরিকর মোদী-শাহ জুটি।
গেরুয়া শিবিরের রণকৌশলে ২৬/২-এর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক টু-ই শিখর ছোঁয়ার মাপকাঠি। পুলওয়ামা-কাণ্ড। তারপর বালাকোটে প্রত্যাঘাত। বিজেপির রণকৌশল বদলে গেল এক লহমায়। এখন বিজেপির মুখে তাই একটাই কথা- পারলেন তিনিই পারেন। পুলওয়ামার জবাব দিয়েছেন মোদী। তারপরই সেই আবেগের আঁচে ধুনো দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
তিনি বলতে শুরু করে দিয়েছেন, পাকিস্তানতে জবাব দিতে ফের দরকার, মোদী সরকার। এটাই এখন বিজেপির ভোট প্রচারের অন্যতম মাধ্যম। সবার আগে দেশপ্রেম। পুলওয়ামা-বালাকোটকাণ্ডের পর দেশভক্তির যে জোয়ার বইছে, সেই জোয়ারে ভেসেই ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি। দেশভক্তির 'থিম সং'ও তৈরি করতে বলা হয়েছে। মোদীর আস্তিন থেকে বেরিয়েছে দেশভক্তির নয়া তাস। তাই মোদীতে ভরসা রেখেই বিজেপির স্লোগান- 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়'।