৪০ বছর ধরে মাথায় জল দেননা এই ব্যক্তি! উঠে এলো এক'ঐশ্বরিক' ঘটনার কাহিনি
স্নানে অনেকেরই অরুচি থাকে। আর শীতকালের স্নান হলে তো কথাই নেই! বহু শীত কাতুরেই স্নান কোনও মতে সেরে ফেলতে পারলে বেঁচে যান! গায়ে রোজ জল দেওয়ার ব্য়াপারে অনীহা অনেকেরই থাকে।
স্নানে অনেকেরই অরুচি থাকে। আর শীতকালের স্নান হলে তো কথাই নেই! বহু শীত কাতুরেই স্নান কোনও মতে সেরে ফেলতে পারলে বেঁচে যান! গায়ে রোজ জল দেওয়ার ব্য়াপারে অনীহা অনেকেরই থাকে। তবে মুঙ্গেরের সকল টুডুর কাহিনি এমন নয়। তিনি ঠিক স্নানের ভয়ে মাথায় জল দেন না, ..এমনটা কিন্তু নয়। তাহলে , কোন কারমে গত ৪০ বছর মাথায় জল ঢালেননি এই ব্যক্তি! প্রশ্নের জবাব দিয়ে অবাক করছেন সকল টুডু।
|
চুলে জটা নিয়েই চলেন এই ব্যক্তি!
১৯৭৯ সাল থেকে তিনি চুলে জল দিচ্ছেন না। এতদিনে তাঁর চুলের জটা ছুঁয়েছে ৬ ফুটে। এখন তিনি ওই জটাকে পাগড়ির মতো করে রাখেন। রাতে শোওয়ার সময় পাশে এই চুল মেলে শুয়ে পড়েন। পরিবার বলতে সকল টুডুর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ৩ সন্তান।
গ্রামের লোকের মহাত্মা!
গ্রামের মানুষ সকল টুডুকে মহাত্মা নামে চেনেন। এলাকায় জরি বুটি দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন সকল টুডু। আর তার থেকেই গ্রম জুড়ে সমাদর রয়েছে সকলের জন্য। আর তাঁর এই জটা সেই সমাদরকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ৬৩ বছরের সকল টুডু কেন ৪০ বছর ধরে মাথায় জল দেন না?কেন রেখেছেন এমন জটা?
|
কেন রেখেছেন এমন জটা?
সকল টুডুর দাবি, 'জটা আসলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ'। আর সেই জন্যই তিনি এই জটার মোহ ছাড়তে পারছেন না! আর ক্রমেই এই জটা এগিয়ে চলেছে নিজের গতিপথে। সকল টুডুর দাবি, ঈশ্বর তাঁকে জটা রাখবার কথা বলেছেন! এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। সকল আরও জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ঈশ্বরের আদেসে তিনি মদ, ধূমপানও ছেড়ে দিয়েছেন।
(ছবি সৌজন্য: রিচা শর্মার টুইটার প্রোফাইল)