সরকারের কাছ থেকে ছাত্রী স্যানিটারি ন্যাপকিন চেয়েছিল, ক্ষুব্ধ আমলার উত্তরে নয়া বিতর্ক
সরকারের কাছ থেকে ছাত্রী স্যানিটারি ন্যাপকিন চেয়েছিল, ক্ষুব্ধ আমলার উত্তরে নয়া বিতর্ক
বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন বিহারের আইএএস অফিসার হারজোত কৌর ভামরা। মঙ্গলবার তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে এক স্কুল ছাত্রী স্যানেটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ওই স্কুল ছাত্রীকে তিনি উত্তেজিত হয়ে জবাব দেন, 'এবার থেকে তো তোমরা সরকারের কাছ থেকে কনডোম চাইবে।' এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়েন হারজোত কৌর ভামরা। তিনি চাপে পড়ে ক্ষমা চান। প্রসঙ্গত, বিহারের মেয়েদের স্বনির্ভর করার এক কর্মসূচিতে আইএএস অফিসার এই মন্তব্য করেছিলেন।
কী হয়েছিল অনুষ্ঠানে
মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আইএএস অফিসার হারজোত কৌর ভামরা। সেখানে তিনি ছাত্রীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। এক ছাত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'সরকার আমাদের ইউনিফর্ম দিচ্ছে, বৃত্তি দিচ্ছে, ২০-৩০ টাকা মূল্যের স্যানেটারি ন্যাপকিন দিতে পারে।' ছাত্রীটির এই কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন আইএএস অফিসার। তিনি বলেন, 'এরপর তোমরা বলবে সরকার জিন্সও দিতে পারে। আর কিছু সুন্দর জুতা দিতে পারে। তোমরা আশা করবে সরকার তোমাদের কনডোমও দেবে।' ছাত্রীটিকে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন। ছাত্রীটি পরিষেবা পাওয়ার জন্য ভোট দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে তিনি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যখন পরিষেবা পাচ্ছেন না, তাহলে ভোট দেবেন না। ছাত্রীটির নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বলেও ওই আইএএস অফিসার তাঁকে কটাক্ষ করেন।
সংবাদমাধ্যমকে হুঁশিয়ারি
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশিত হয়ে পড়ে। যার জেরে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েন আইএএপস অফিসার। পাল্টা তিনি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে মিথ্যা খবর প্রচারের জন্য মামলা করবেন বলে মঙ্গলবার হুমকি দেন। বুধবার সন্ধ্যাবেলায় এক বিবৃতিতে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন।
ক্ষমা চাইলেন আইএএস অফিসার
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকেন। বিহার মহিলা ও শিশু উন্নয়ন কর্পোরেশনের তরফে ভামরাকে সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আমি সংবাদ প্রতিবেদনগুলি দেখেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। আমি সবকিছু দেখছি। যদি তিনি দোষী হন তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' চাপের মুখে পড়ে ভামরা ক্ষমা চান। তিনি বলেন, 'আমি যা বলেছি তা মন দিয়ে শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন, আমি শুধুমাত্র মেয়েদের আত্মনির্ভরতার (স্বনির্ভরতা) প্রতি আহ্বান জানাতে চেয়েছিলাম... কারও অনুভূতিতে আঘাত লাগলে, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এই ধরনের আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কাউকে আঘাত করতে বা হেয় করতে চাইনি।'