১১ বছর আগের পুনরাবৃত্তি, বাজেটের পরই হুড়মুড়িয়ে ধস নামল সেনসেক্স-নিফটিতে
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাজেট বক্তৃতার পরই সেনসেক্স পড়ল হুড়মুড়িয়ে। ১১ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হল যেন। ২০০৯ সালের পর ফের বাজেটের দিনে সেনসেক্স পড়ল।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাজেট বক্তৃতার পরই সেনসেক্স পড়ল হুড়মুড়িয়ে। ১১ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হল যেন। ২০০৯ সালে মনমোহন সিং সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাজেটের পর ফের বাজেটের দিনে সেনসেক্স পড়ল মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশের পর। ২.৪ শতাংশ পতন দেখা দিল শেয়ার মার্কেটে।
বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স ১০৯২ পয়েন্ট পড়ল ইন্ট্রা ডে-তে। এবং ৯৮৮ পয়েন্ট কমে সেনসেক্স দাঁড়াল ৩৯,৭৩৫.৫৩ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছিল। জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জে নিফটি ২.৫ শতাংশ কমে ১১,৬৬১-তে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি যখন বড় মন্দার মুখোমুখি হচ্ছে, যখন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, তখন শেয়ারবাজারের অংশগ্রহণকারীরা হতাশ হয়েছেন।
সাধারণ মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল, বাজেটে এমন কিছু প্রস্তাব আনা হবে যা অর্থনীতিকে ফের আলোর রাস্তায় ফেরাবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। বাজেটে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কোনও শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি মোদী সরকার। তাই বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এমনই মত জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের এমডি সিজে জর্জের।
বাজার পড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হ'ল- নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় ছাড় প্রত্যাহার। সেকশন ৮০সি-এর অধীনে ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্স সাশ্রয়ী মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিমগুলিতে এবং এমন অনেক বিমায় বিনিয়োগ করেন, যা ৮0সি-এর অধীনে পড়ে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে ধীরে ধীরে সমস্ত ছাড় তুলে নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার মার্কেটে হঠাৎ পতন দেখা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভবিষ্যতে ভালো হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
আবার আমানত বিমায় কভারেজ বৃদ্ধির ফলে ব্যাংক স্টকগুলিতে বিক্রিও হয়েছিল। সবথেকে বড় কথা আমানত বীমা ব্যয় পাঁচগুণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাঙ্ক খাতে অতিরিক্ত বোঝা নেমে আসবে। সেই কারণেও ব্যাংক নিফটির পতন ঘটেছে। আমানতকারীকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তও বুমেরাং হয়েছে নিফটি পতনে।