৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে কংগ্রেসে ক্রমেই বিভাজন বাড়ছে! সরকারের পক্ষে বাড়ছে সংখ্যা
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসে বড় বিভাজন তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসে বড় বিভাজন তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন গুলাম নবি আজাদ, শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারি সরাসরি এই ধারা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়াকে বিরোধিতা করেছেন সংসদেই, ঠিক অন্যদিকে ধারা বিলোপকে সমর্থন করেছন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওয়ার মতো এপ্রজন্মের নেতা থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান জনার্দন দ্বিবেদীর মতো নেতাও। এদিকেই বাড়ছে সংখ্যা।
ধারা বাতিলের সমর্থনে যাঁরা
দলের
সভাপতির
পদে
ইস্তফা
দিয়েছেন
লোকসভা
নির্বাচনের
ফল
বেরনোর
পরেই।
এখনও
সেই
জায়গায়
নেতা
ঠিক
করে
উঠতে
পারেনি
কংগ্রেস,
তারই
মধ্যে
বড়
বিভাজন
তৈরি
হয়েছে
শতাব্দী
প্রামীন
এই
দলে।
প্রসঙ্গ
৩৭০
ধারা
বাতিল।
সরকারের
এই
অবস্থানকে
সমর্থন
করেছেন
রাহুল
ঘনিষ্ঠ
জ্যোতিরাদিত্য।
সঙ্গে
তিনি
বলেছেন
আরও
ভাল
হত
যদি
পুরোপুরি
সাংবিধানিক
পদ্ধতি
অনুসরণ
করা
হত।
তাহলে
বিষয়টি
নিয়ে
কোনও
প্রশ্ন
তোলার
জায়গা
থাকত
না।
টুইট
করে
জানিয়েছেন
তিনি।
শুধু
মঙ্গলবারেই
নয়,
সোমবার
রাজ্যসভায়
কাশ্মীর
নিয়ে
বিল
পেশের
সময়েই
সরকারের
অবস্থানকে
সমর্থন
করেছিলেন
জনার্দন
দ্বিবেদি,
জয়ভীর
শেরগিল
এবং
ভুবনেশ্বর কলিতা। তালিকায় যুক্ত হয়েছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মিলিন্দ দেওয়ার। জনার্দন দ্বিবেদী বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পরে অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিরোধিতা করেছিলেন। এই সিদ্ধান্ত একটা রাষ্ট্রীয় সন্তোষ। দেশ স্বাধীনের সময় ভুল হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা দিপেন্দর হুডার মন্তব্য একবিংশ শতকে এই ধরনের ধারার কোনও জায়গা নেই। তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অনিল শাস্ত্রী। তিনি বলেছেন দেশের মানুষ সরকারের সঙ্গ রয়েছেন।
ধারা বাতিলের বিরোধিতায় যাঁরা
ধারা বাতিলের বিরোধিতা রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গুলাম নবি আজাদ। তিনি তৃণমূল এবং বামপন্থীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করে গিয়েছেন। আর লোকসভা আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে মণীশ তিওয়ারি, শশী তারুরদের। পাশে ছিলেন অধীর চৌধুরীও।
সনিয়া ও রাহুলের অবস্থান
কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস সরকারি ধারা বাতিলের বিরোধিতা করেছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে তারা। এদিন লোকসভায় আলোচনা শুরু আগে কংগ্রেস সাংসদরা সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে সনিয়া জানিয়ে দেন, তারা এর বিরোধিতা করবেন। তারা যুক্তি দেবেন, বিষয়টি নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। লোকসভায় বিল পেশের দিন সনিয়া গান্ধীকে অতি সক্রিয়ও দেখা গিয়েছে। যা সাম্প্রতিক কালে তাঁকে দেখা যায়নি।