মনোরম বেঙ্গালুরুতে তীব্র দাবদাহ, ভাঙল ৮৫ বছরের পুরনো গরমের রেকর্ড
বেঙ্গালুরু, ২৫ এপ্রিল : সারা দেশে এই সময়ে তীব্র দাবদাহ চলে প্রতিবছর। উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমের কোনও শহরই দাবদাহের হাত থেকে বাদ যায় না। এতদিন এই ব্যাপারে ব্যতিক্রম ছিল কর্ণাটকের শহর বেঙ্গালুরু। তবে এবছর গরমের ঠেলায় বাগিচা শহরও গ্রীষ্মের আঁচ অনুভব করছে। [তীব্র গরমে সুস্থ থাকার কয়েকটি সহজ টিপস]
পাশের রাজ্য তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা বা অন্ধ্রপ্রদেশে ফি বছর বহু মানুষ গরমের বলি হন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রে এবছরও মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। কিন্তু এতদিন গরম কি জিনিস তা বোঝেননি বেঙ্গালুরু শহরের বাসিন্দারা। [গরমে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে ও সুস্থ থাকতে ডায়েট রাখুন এই খাবার]
এপ্রিল-মে মাসেও গত বছরে গায়ে চাদর জড়িয়ে শোওয়া বেঙ্গালুরুবাসী এবছর সজোরে পাখা চালিয়েও নিস্তার পাচ্ছেন না। দিনে-রাতে তীব্র দাবদাহে প্রাণপাত হওয়ার জোগাড়। কারণ বেঙ্গালুরুতে এখন তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছেছে ৩৯.২ ডিগ্রিতে। যা ৮৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। [গরমকালে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ উপায়]
আপাতত গোটা সপ্তাহই এমন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৩৮ ডিগ্রির আশেপশে। অর্থাৎ এককথায় মনোরম পরিবেশের জন্য বিখ্যাত বেঙ্গালুরু এখন দাবদাহে ব্যতিব্যস্ত। [গরমে সানস্ট্রোক থেকে বাঁচতে এগুলি খান]
১৯৩১ সালে এপ্রিল মাসে বেঙ্গালুরুতে রেকর্ড পরিমাণ পারদ উঠেছিল। সেবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর থেকে আর কখনও এমন পারা চড়েনি। সারা দেশে গরম হলেও বেঙ্গালুরুতে ভরা গ্রীষ্মে শহরবাসী গায়ে চাদর মুড়িয়ে শুয়েছেন।
তবে এবছর অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে। দোকানে দোকানে এসি, কুলার কিনতে ভিড় পড়ে গিয়েছে। বহু মানুষের গরমে অসুস্থ হওয়ার ও হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের যে রাজ্যগুলি খরার কবলে পড়েছে কর্ণাটক তার মধ্যে অন্যতম। খরার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন শহরগুলিতে তীব্র জলকষ্টও দেখা দিয়েছে। অন্য জেলা থেকে মানুষ বাড়ি ছেড়ে দিয়ে বেঙ্গালুরুতে এসে থাকতে শুরু করেছেন। কারণ অন্য জেলাগুলিতে, বিশেষ করে উত্তর কর্ণাটকে তাপমাত্রার পারদ ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।