পায়ে পায়ে পার সাত দশক, বেঙ্গালুরুর বাঙালিরা এভাবেই মাতেন দুর্গোৎসবে
Array
গত ৭৩ বছর ধরে বেঙ্গালুরুর বাঙালি অ্যাসোশিয়েসন দুর্গাপুজোর আয়োজন করে আসছে। বিজয়া দশমী মানে নবরাত্রির শেষ। এই দিনেই মা দুর্গা অসুর নিধন করেছিলেন বলে মনে করা হয়। পৃথিবীতে কালো পেরিয়ে আসে নতুন দিনের আলো।
বাঙালি অ্যাসোশিয়েসন
বেঙ্গালুরুর বাঙালি অ্যাসোশিয়েসন উলসুর সবথেকে পুরনো দুর্গা পুজো। বহু বছর ধরে এখানকার বাঙ্গালিরা উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। একের পর এক প্রজন্ম এই পুজো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে তৃতীয় প্রজন্ম করছে এই পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৫০ সালে। পায়ে পায়ে জা আজ ৭৩ বছরে পা দিয়েছে।
করোনা কাঁটা
গত দু'বছর করোনা কাঁটায় কোনও মতে শেষ হয় পুজো। এই বছরের পুজো ফিরে আসার। উৎসব আনন্দ রূপে ফিরে আসার বছর ছিল। সেই নিয়ে ফিরে এসেছে এই পুজো। থিম ছিল বরণ।
কী বলছে কমিটির সদস্যরা?
কমিটির সদস্য তমশত্রি দেব বলেন, "আমি এই পুজোর সনেগ গত ১৫ বছর ধরে জড়িত। এই বছরের পুজো আমাদের কাছে খুব স্পেস্যাল ছিল, কারণ গত দুই বছর পুজো সেভাবে হয়নি। মা'কে ভালো করে আমরা বরণ করতে পারিনি। তাই এই বছরে আমরা মা'কে মহানন্দে বরণ করতে চাইছিলাম। তাই এই বছরে থিমের নাম বরণ। এই বছর আমরা দুর্গা মূর্তি অন্যভাবে বানিয়েছিলাম। মা আমাদের শান্ত, কারণ পৃথিবীতে অনেক অশান্তি চলছে। তাই মায়ের শান্ত মূর্তি আমাদের মন ভালো করতে পারে। দেখতে দেখতে চলে এল দশমী। তাই এবার মায়ের বিদায়ের পালা। তিনি এবার শিবের কাছে ফিরে যাবেন।
তিনি বলেন, "আমি আজ থেকে ১৫ বছর আগে যখন এই শহরে এসেছিলাম পুজোর সময় খুব একা লাগত, ভালো লাগত না। বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিষয়টা অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। দুর্গা পুজো এখন অন্যভাবে কাটে আমাদের।
পুজোর অঙ্গ
পুজোর অঙ্গ হিসাবে তাঁরা রেখেছে গামছা, লাল পাড় শাড়িকে। জানা গিয়েছে এই পুজো আগে তাঁদের ছিল যারা এখানে হ্যাল, আইটিআই, এইচএমটি'র মতো সংস্থায় চাকরি করতেন। তাঁরাই পুজো শুরু করে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে প্রথমে হত শুধু সরস্বতী পুজো। একটা লাইব্রেরিতে শুরু হয়েছিল তা। সময়ের সঙ্গে বাঙালির সংখ্যা বাড়ে। একটা দল করতে চায় দুর্গা পুজো। সেই থেকেই পুজো এই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এভাবেই তাঁরা তাঁদের পুজোর আরও উন্নতি করতে চান বলে জানাচ্ছেন।