
ভারতে জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার পিছনে বাংলাদেশ! ধর্মান্তর বিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান RSS-এর
ভারতে ধর্মান্তর বিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। দলের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে ধর্মান্তর এবং মানুষের পরিযায়ী হওয়ার কারণে ভারতের জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে।

ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র
প্রয়াগরাজে আরএসএস-এর চারদিনের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার সমাপ্তির পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হোসাবলে অভিযোগ করেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। চবে তাঁদের সংগঠন এব্যাপারে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানিয়েছেন, এর ফল হিসেবে ঘরওয়াপসির অনুকূল ফল পাওয়া গিয়েছে। আরএসএস সাধারণভাবে ইসলাম এবং খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হিন্দুদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে ঘরওয়াপসি বলে থাকে।

ধর্মান্তর বিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে
দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেছেন, ধর্মান্তর রোধে যেসব আইন রয়েছে, সেগুলোকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিজেপি উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ধর্মান্তর রুখতে এমন আইন এনেছে, যেখানে বিয়ের মাধ্যমে জোর করে কিংবা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত গৌহানিয়ার বাৎসল্য ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে চারদিনের বার্ষিক সভার সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশই কারণ
দত্তাত্রেয় হোসাবলে দাবি করেছেন, ধর্মান্তরের কারণে বিন্দুদের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে অনুপ্রবেশকে জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আরএসএস নেতা বলেছেন বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের কারণে উত্তর বিহারের পূর্ণিয়া ও কাটিহারের মতো জেলাগুলি ছাড়াও অন্য রাজ্যেও দেখা গিয়েছে। যার জেরে অভিন্ন জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করতে এবং তা সবার জন্য চালু করতে ঐক্যবদ্ধভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে শুধু দত্তাত্রেয় হোসাবলেই নন, নাগপুরে বিজয়া দশমী উফলক্ষে বক্তৃতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা, সামাজিক সম্প্রীতি এবং মাতৃভাষায় শিক্ষার কথা বলেছিলেন।
হোসাবলে বলেছেন, গত ৪০-৫০ বছরে জনসংখ্যার ওপরে নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রত্যেক পরিবারের গড় জনসংখ্যা ৩.৪ থেকে ১.৯-এ নেমে এসেছে। তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেছেন, ভারতে এমন একটা সময় আসবে, যখন যুব জনসংখ্যা হ্রাস পাবে, যা উদ্বেগজনক।

ধর্ম পরিবর্তন করলে সংরক্ষণের সুবিধা নয়
আরএসএস নেতা আরও বলেছেন, যাঁরা ধর্ম পরিবর্তন করেছেন, তাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না। তিনি এব্যাপারে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণনের অধীনে গঠিত কমিটির কথা উল্লেখ করেছেন। যে কমিটি তফশিলি জাতিভুক্ত অন্য ধর্মগ্রহণ করাদের তফশিলির মর্যাদার ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু করেছে।
আরএসএস-এর বৈঠকে হিন্দুদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে আরএসএস জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়ার তাঁদের মধ্যে হিন্দু বোধ তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, সেইসব মানুষগুলো এখন সংঘে যোগ দিতে চায়।
সনাতন হিন্দু ধর্মের অনুশীলন! সব সরকারি মন্দিরে গো-পুজোর নির্দেশ কর্নাটক সরকারের