দীপিকা পাড়ুকোনের পরামর্শদাতা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ বাবা রামদেবের
কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দীপিকা পাড়ুকোনের উচিত দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়গুলির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করা। এমনই পরামর্শ দিলেন যোগ গুরু বাবা রামদেব।
কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের উচিত দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়গুলির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করা। এমনই পরামর্শ দিলেন যোগ গুরু বাবা রামদেব। পাশাপাশি রামদেব আরও বলেন, 'দীপিকার উচিত কেনও যোগ্য মানুষকে তাঁর উপদেষ্টা হিসাবেও নিয়োগ করা।' এরপর নিজেই দীপিকার উপদেষ্টা তথা পরামর্শদাতা হওয়ার প্রস্তাব দেন বাবা রামদেব।
জেএনইউ ক্যাম্পাসে যান দীপিকা পাডুকোন
প্রসঙ্গত, দীপিকা পাডুকোন গত ৫ জানুয়ারি দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসে হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী পড়ুয়েদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য যান। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন তিনি, তাবড় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার মুখেও পড়েন। অনেক বিজেপি নেতাই অভিযোগ তোলেন যে দীপিকা নিজের সিনেমার প্রচারের স্বার্থে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছপক-কে বয়কট করার ডাক দেন।
রামদেবের বক্তব্য
রামদেব ইন্দোরে সাংবাদিকদের বলেন, 'অভিনেত্রী হিসাবে দীপিকার দক্ষতা একেবারে অন্য বিষয়। তবে প্রথমে তার উচিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা এবং আমাদের দেশ সম্পর্কে আরও বোঝা। এই জ্ঞান অর্জনের পরে তার উচিত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমার মনে হচ্ছে দীপিকা পাড়ুকোনকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য স্বামী রামদেবের মতো মানুষের থাকা উচিত।'
সিএএ-র সমর্থনে রামদেব
এরপর নতুন নাগরিকত্ব আইনকে তীব্র সমর্থন করে রামদেব জানিয়েছিলেন যে সিএএ-র সম্পূর্ণ নাম কী সেটাও জানেন না এমন মানুষও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বাজে ভাষা ব্যবহার করছেন। রামদেবের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই আইন নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং তা প্রদান করার জন্য, তা সত্ত্বেও মানুষ এতে হিংসার ইন্ধন জোগাচ্ছেন।' এদিকে তিনি আরও জানান যে গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য বিরোধী দলগুলির ক্ষমতাসীন দলের মতোই শক্তিশালী হওয়া উচিত।
'ভারতকে ডাম্পিং ইয়ার্ড বানানো যায় না!'
রামদেব আরও দাবি করেছেন যে দুই কোটি মানুষ ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। 'কোনও দেশকে ডাম্পিং ইয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। কোনও অবৈধ নাগরিককে ভারতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করা প্রতিবাদকারীদের যদি বিকল্প প্রস্তাব থাকে, তবে তারা তা নিয়ে এগিয়ে আসুন।'
জুটবে না বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, নিরামিষ হতে চলেছে পার্লামেন্টের ক্যান্টিন