ডোকলামকে মাথায় রেখে নয়া পদক্ষেপ সেনার, এবার সীমান্ত পরিকাঠোমা উন্নয়নে জোর
ডোকলাম বিতর্ককে মাথায় রেখে এবার উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল বরাবর পরিকাঠামো আরও মজবুত করার উদ্যাগ নিল সেনাবাহিনী
ডোকলাম বিতর্ককে মাথায় রেখে এবার উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল বরাবর পরিকাঠামো আরও মজবুত করার উদ্যাগ নিল সেনাবাহিনী। চিনের সঙ্গে ভারতের ৪০৫৭ কিমি সীমানার পরিকাঠামো ধাপে ধাপে মজবুত করা হবে বলে সেনাসূত্রে জানা গিয়েছে।
আর্মি কমান্ডার্স কনফারেন্সের এই সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়ন অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। ভারত ও চিনের সামরিক তৎপরতাকে মাথায় রেখে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে এই কনফারেন্স চলছে। যদিও ডোকলামে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে বিতর্কিত এলাকা থেকে ১০ কিমি দুরেই পুরনো একটি গাড়ি চলাচলযোগ্য রাস্তাতে নতুন করে তৈরি করছে চিন। অবশ্য বিতর্কিত এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দুরে হওয়ায় ভারত কোনও আপত্তি করেনি।
গত শনিবারই সিকিম-ভুটান- তিব্বত জংশন পরিদর্শন করার পর ওই সব জায়গায় সেনার ক্ষমতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মঙ্গলবার কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র সামরিক শক্তিবৃদ্ধিই নয়, ওই এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপরও নজর রাখা হবে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের নিতি, লাইপুলেখ, থাংলা -১ ও সাং চোকলা পাস পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগের প্রয়োজন। সেইসঙ্গে আরও ৩টি পাস পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ তৈরি করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও কারাকোরাম পাস থেকে লাইপুলেখ পর্যন্ত আরও বেশ সেনা মোতায়েনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, সীমান্ত পরিকাঠামোর নিরিখে চিনের থেকে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে। সীমান্ত এলাকাগুলিতে চিন আগেই রাস্তা তৈরি করে সেখানে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও করে ফেলেছে। কিন্তু ভারত- চিন সীমান্তের বেশিরভাগ জায়গাতেই ভারত সেই জায়গায় পিছিয়ে। সেকারণেই সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রককে।
[আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে নিয়োগ ক্যাম্পে ব্যাপক সাড়া, শ্রীনগরে হাজির ১৮০০-র বেশি কাশ্মীরি যুবক]