বিহার থেকে গ্রেফতার সিএএ প্রতিবাদী জেএনইউ ছাত্র শারজিল ইমাম
বিহার থেকে গ্রেফতার সিএএ প্রতিবাদী জেএনইউ ছাত্র শারজিল ইমাম
সিএএ প্রতিবাদী আন্দোলনকারী জেএনইউ-র ছাত্র শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করল পুলিস। বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁেক। শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। একাধিক রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শাহিন বাগের প্রতিবাদী আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন শারজিল
|
গ্রেফতার জেএনইউ-র ছাত্র
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়েছিলেন শারজিল ইমাম। জেএনইউ সহ একাধিক জায়গায় সিএএ বরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল। দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন শারজিল। সেখানে উষ্কানি মূলত বক্তব্য রাখার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক রাজ্যের পুলিসের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ রয়েছে। শারজিলতে মঙ্গলবার বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
দেশদ্রোহের ধারায় গ্রেফতার
শারজিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ( সরকারে এবং আইনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর উষ্কািন মূলক কথা বলা), ১৫৩এ( ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধানো), ৫০৫( জনগণকে বিপথে চালনার প্রচেষ্টা) ধারায় দিল্লি পুলিসের কাছে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রায় ৬টি রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মণিপুর পুলিসের কাছে একই ধারায় মামলা দায়ের রয়েছে শারজিলের বিরুদ্ধে।
শারজিলকে গ্রেফতারের আগে ভাইকে জেরা
শারজিলকে ধরতে গত কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। শেষে ২৭ জানুয়ারি শারজিলের ভাইকে ডেকে জেরা করে বিহারের পুলিস। মঙ্গলবার সকালে ইমামকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত ২৫ জানুয়ারি বিজেপির পক্ষ থেকে ইমামের একটি বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে ইমামকে উষ্কানিমূলক বক্তব্য গিতে শোনা গিয়েছে। অসমকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলছিলেন তিনি।