অ্যান্ট্যাসিড খান? এবার থেকে এই সতর্কবার্তা দেখে নেবেন
রোগীর শারীরিক নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে এবার থেকে বাজারে বহুল বিক্রিত অ্যান্ট্যাসিডের প্যাকেটে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে 'কিডনির পক্ষে ক্ষতিকারক' কথাটি উল্লেখ করতে হবে।
রোগীর শারীরিক নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে এবার থেকে বাজারে বহুল বিক্রিত অ্যান্ট্যাসিডের প্যাকেটে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে 'কিডনির পক্ষে ক্ষতিকারক' কথাটি উল্লেখ করতে হবে। দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রত্যেকটি রাজ্যেক রেগুলেটরি অথরিটিকে এই ধরনের ওষুধের প্রস্তুতকারকদের কাছে নির্দেশ পাঠাতে বলা হয়েছে।
ওষুধ সম্পর্কে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা প্যাকেজিং-এ উল্লেখ করতে হবে। সেইসব ওষুধের ক্ষেত্রে এই সতর্কবার্তা উল্লেখ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে, পেন্টোপ্রাজোল, ওমেপ্রাজোল, ল্যানসোপ্রাজোল, ইসমেপ্রাজোল এবং তাদের সমন্বয়ের ওষুধের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
জানা গিয়েছে, কীভাবে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন সেন্টার ফর ফার্মাকোভিডিল্যান্স প্রোগ্রামেরও।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অ্যান্টি অ্যাসিডিটির বড়ি নিয়ে গবেষণা চলছে। সেখানে গ্যাস দূর করতে এইসব ওষুধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কেননা, মুড়ি মুড়কির মতো এই ওষুধের ব্যবহারে দীর্ঘ মেয়াদে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। যার থেকে অ্যাকিউট রেনাল ডিজিজ এবং ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এমন কী গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারও হতে পারে।
দেশে এই ধরনের ওষুধের ১০ টির বাজার প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকার। প্রায় ২০ বছর আগে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল ওষুধগুলি নিরাপদ।