লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষিপ্ত এই শিল্পপতি, প্রয়োজনে 'জল্লাদ'-এর ভূমিকা নিতেও রাজি তিনি
আর সহ্য হচ্ছে না তাঁর। লোকে তাঁকে শান্তশিষ্ঠ-ভদ্রলোক বলেই জানেন। কিন্তু, গত কয়েক দিনে যেভাবে কাঠুয়া থেকে উন্নাও এবং দিন দুয়েক আগে সুরাত ধর্ষণের নৃশংসতা সামনে এসেছে তাতে ক্ষিপ্ত আনন্দ মহিন্দ্রা।
আর সহ্য হচ্ছে না তাঁর। লোকে তাঁকে শান্তশিষ্ঠ-ভদ্রলোক বলেই জানেন। কিন্তু, গত কয়েক দিনে যেভাবে কাঠুয়া থেকে উন্নাও এবং দিন দুয়েক আগে সুরাত ধর্ষণের নৃশংসতা সামনে এসেছে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। মহিন্দ্রা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান আনন্দ মহিন্দ্রা ধর্ষণ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন।
রবিবার দেওয়া এই প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ মহিন্দ্রা জানিয়েছেন ধর্ষকদের শাস্তি দিতে তিনি জল্লাদ হতেও প্রস্তুত। মহিন্দ্রা সংস্থার টুইটার অ্য়াকাউন্টে আনন্দ মহিন্দ্রা লিখেছেন, 'জল্লাদের কাজ কারোরই কাছে কাঙ্খিত কাজ নয়। কিন্তু, অল্পবয়সী মেয়েদের যারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করছে তাঁদের মৃত্যুদমণ্ড দিতে প্রয়োজনে আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে জল্লাদের কাজ করতেও দ্বিধা করবো না।'
সুরাটে যেভাবে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাতে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। এমনকী, সেই বালিকার দেহ উদ্ধারের পরে তার দেবে ৮৬টি ক্ষতচিহ্ন মেলে। আনন্দ মহিন্দ্রা বরাবরাই শান্ত প্রকৃতির লোক বলেই পরিচিত। কিন্তু, যেভাবে একের পর ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে তাতে আর নিজের আবেগকে সংযত করতে পারছেন না দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক সংস্থা মহিন্দ্রার চেয়ারম্যান।
সুরাত ধর্ষণের ঘটনা এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন গোটা কাঠুয়া গণধর্ষণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। কাঠুয়াতেও এক ৮ বছরের বালিকাকে মন্দিরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয় এবং পরে তাকে হত্যা করে জঙ্গলে দেহ ছুঁড়ে ফেলা দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে উন্নাও ধর্ষণের ঘটনাও সামনে আসে। এক তরুণীকে কী ভাবে দিনের পর দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে চলেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তা এখন শিরোনামে।