বিয়ে হবে মেটাভার্সে , চমক তামিলনাড়ুর যুগলের
বিয়ে হবে মেটাভার্সে , চমক তামিলনাড়ুর যুগলের
বিয়েও ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সম্ভব ? হ্যাঁ, এখন সবই হচ্ছে। সেরকম চেষ্টাই করেছেন তামিলনাড়ুর এক যুগল। তারা তাদের বিয়েটা এভাবেই সারবে বলে ঠিক করে নিয়েছে। পাত্রের নাম দিনেশ এস পি, পাত্রীর নাম জনগানন্দিনি রামাস্বামী। তাদের বিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম রবিবারেই। বিয়ে হবে তামিলনাড়ুর শিবলিঙ্গপুরম গ্রাম থেকে। তবে তারা তাদের বউভাত পর্ব ঠিক করেছে ডিজিটালি।
বিয়ে হয়ে যাবার পর তারা তাদের ল্যাপটপ খুলবে। তারপর একটি ভার্চুয়াল ভেন্যুতে তারা প্রবেশ করবে। তাদের থিম হগওয়ার্টস। এই ভার্চুয়াল থিমে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে জয়েন করবে তাদের বন্ধু ও অন্যান্য পরিজনরা। দিনেশ জানিয়েছে , এই ভাবনা তার মাথাতেই প্রথমে আসে। তারপর এই কথা সে তার ভাবী স্ত্রী'কে জানায়। সেও এতে সম্মতি দেয়। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পাত্র দীনেশ ক্রিপ্টো ও ব্লকচেন টেকনোলজি নিয়ে বহু দিন ধরে কাজ করছে। এবার ব্লকচেন হল মেটাভার্স-এর একদম প্রাথমিক অংশ। তার বিয়ে যখন ঠিক হয়ে যায় তখনই সে ঠিক করে এই টেকনোলোজিকে তার বিয়েতে কাজে লাগাবে।
মেটাভার্স
কী?
মেটাভার্সই
হল
ইন্টারনেটের
ভবিষ্যৎ।
প্রযুক্তিবিদরা
বলছেন,
এর
ফলে
ভার্চুয়াল
জগতকে
মনে
হবে
বাস্তব
জগতের
মতো।
এখানে
মানুষের
যোগাযোগ
হবে
বহুমাত্রিক
ভাবে।
মেটাভার্স
প্রযুক্তির
মাধ্যমে
আপনি
যেমন
কোন
কিছু
দেখতেই
পাবেন।
পাশাপাশি
এই
বিশ্বে
প্রবেশ
করতেও
পারবেন
খুব
সহজেই।
তথ্য-প্রযুক্তিবিদ
বলছেন,
এটাকে
থ্রি-ডি
ভার্চুয়াল
ওয়ার্ল্ড
বলা
যেতে
পারে।
স্ক্রিনে
এখনকার
বেশিরভাগ
স্পেস
হচ্ছে
টু-ডি
বা
দ্বিমাত্রিক।
কিন্তু
মেটাভার্স
জগতে
আমাদের
অভিজ্ঞতা
হবে
থ্রি-ডির
মতো।
টেলিফোনে
কারো
সঙ্গে
কথা
বললে
মনে
হবে
সামনা-সামনি
আলাপচারিতা
হচ্ছে।
সাধারণ
মানুষের
কাছে
মেটাভার্স
প্রযুক্তিকে
আপাতত
ভার্চুয়াল
রিয়েলিটি
বা
ভিআর-এর
কোন
সংস্করণ
বলে
মনে
হতে
পারে।
কিন্তু
এটি
আসলে
তার
চেয়েও
অনেক
বেশি।