মাদক মুক্ত ভারত গড়তে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তৈরি হল রূপরেখা
ভারতবর্ষকে মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে নতুন প্রচার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তাঁর নেতৃত্বে নারকো কোঅর্ডিনেশন সেন্টারকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে শুরু করে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর সহ একাধিক পদাধিকারীরা ছিলেন। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাদকমুক্ত ভারত তৈরি নিয়ে যাবতীয় আলোচনা করেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার মাদক বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে। এবং এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নামতে চলেছে। আর সেজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সিগুলিকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ।
২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে ১৮৮১ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে, যা ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে মূল্যের মাদক উদ্ধার হয়েছিল তার তিনগুণ বেশি। আগে ওই তিন বছরে ৬০৪ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছিল। যা শেষের তিন বছরে তিন গুণের বেশি বেড়ে গিয়েছে।
Chaired the 3rd Apex level meeting of NCORD with senior officers from the central govt, state governments and various Drug Law enforcement agencies.
— Amit Shah (@AmitShah) December 27, 2021
The strengthening of NCORD illustrates the PM @NarendraModi led central government’s Zero tolerance policy towards narcotics. pic.twitter.com/UVMV6uV3iZ
অ্যান্টি নারকোটিক অথোরিটি ৩৫ লক্ষ কিলোগ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে শেষ তিন বছরে। যার ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। আর সেজন্যই প্রত্যেকটি রাজ্যকে অ্যান্টি নারকোটিক্স টাস্কফোর্স তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের অধীনে এই টাস্কফোর্স তৈরি হবে।
আর যে সমস্ত সিদ্ধান্ত হল আজকের বৈঠকে
- নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অধীনে একটি নোডাল নারকো কো-অর্ডিনেশন সেন্টার তৈরি হবে।
- জাতীয় স্তরে একটি নারকোটিক্স ট্রেনিং মডেল তৈরি হবে যা আধাসেনা, পুলিশ এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ট্রেনিং দেবে।
- মাদকের অপব্যবহার রোধে মন্ত্রকের অধীনে একটি কমিটি তৈরি হবে।
- বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হবে।
- প্রতিটি বন্দরে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত কন্টেনার আমদানি ও রপ্তানির সময় স্ক্যান করা হবে।
- অবৈধ মাদক ব্যবসায় কোথা থেকে টাকার আমদানি হচ্ছে তা খুঁজে বার করতে কার্যকরী সিস্টেম তৈরি করা হবে।
- মাদক চাষ রুখতে ড্রোন, স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে।
- স্কুল শিক্ষায় মাদকের অপব্যবহার নিয়ে আরও বিস্তারিত পাঠ্য রাখা হবে। যাতে এই বিষয়ে ছোট থেকেই সচেতনতা তৈরি করা যায়।