বেসরকারি ক্ষেত্রের হাত ধরে গতি এসেছে বড় শহরগুলিতে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রামাঞ্চলের করোনা টিকাকরণ
গতি এসেছে দেশের বড় শহরগুলিতে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রামাঞ্চলের করোনা টিকাকরণ
প্রথম পর্বের তুলনায় দ্বিতীয় পর্বের সংক্রমণে গ্রামেই সর্বাধিক আক্রমণ চালিয়েছে ভারত। এদিকে সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে বর্তমানে গোটা দেশে শহরাঞ্চলের মানুষেরা অনেক দ্রুত টিকা পাচ্ছে। সেখানে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের টিকাকরণ হচ্ছে অনেক ধীর গতিতে। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগে।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গ্রামাঞ্চলের করোনা টিকাকরণ
এদিকে ভারতের নব গঠিত ১৪৪টি জেলায় এখনও পর্যন্ত ২৩০ লক্ষ করোনা টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে নয়াদিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, পুনে, থানা এবং নাগপুর মতো বড় শহরগুলিতেও এখনও পর্যন্ত প্রায় একই পরিমাণ করোনা টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিকে ওই ১৪৪টি গ্রাম অধ্যুষিত জেলায় যে সংখ্যক মানুষের বাস, এই শহরগুলির মিলত জনসংখ্যা তার অর্ধেক।
গ্রামের তুলনায় শহরে ১৬ শতাংশ বেশি টিকাকরণ
এদিকে আগের মাসে এই ব্যবধান ছিল আরও চওড়া। এদিকে কিছুদিন আগেই বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। যা শহরাঞ্চলে থাকা গ্রামের তুলনায় অর্থবান নাগরিকদের অনেকটাই সুবিধা করে দেয়। অনেকেই বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি থেকে অর্থের বিনিময়ে ভ্যাকসিন নিতে শুরু করেন। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে মে মাসের টার সপ্তাহে দেশের গ্রামাঞ্চলের তুলনায় মূল শহরগুলিতে ১৬ শতাংশ বেশি করোনা টিকাকরণ হয়েছে।
কী বলছে কেন্দ্র
যদিও টিকাকরণে এই বড়সডড অসামঞ্জস্যের কথা মানতে রাজি নয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। তাদের দাবি এই তথ্যে অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এমনকী অনেকেই টিকাকরণ নিয়ে অহেতুক জল্পনা ছড়ানোর কারণেই আরও বাড়ছে উদ্বেগ। যদিও কোইন পোর্টালের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করলে সেই বিষয়ে মুখ খুলছে না কেউই।
একনজরে ভারতের করোনা টিকাকরণ
এদিকে চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে প্রথম টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত দেশে ২২.২ কোটি মানুষ করোনা টিকা পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাদের সিংহভাগই পেয়েছেন মাত্র একটি ডোজ। সূত্রের খবর, ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কোটি প্রাপ্তবয়ষ্কদের মধ্যে ৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন।