আলিগড়ের রিসার্চ স্কলারের পরিণাম জানলে চমকে যাবেন
কাশ্মীরী যুবকদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা সরকারের। সম্প্রতি হিজবুল মুজাহিদিন-এ যোগ দিয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার মান্নান বসির ওয়ানি।
কাশ্মীরী যুবকদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা সরকারের। সম্প্রতি হিজবুল মুজাহিদিন-এ যোগ দিয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার মান্নান বসির ওয়ানি। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে বসির ওয়ানির ছবিও সম্প্রতি পুলিশের হাতে এসেছে।
হাতে একে সিরিজের রাইফেল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার মান্নান বসির ওয়ানির এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুলিশের হাতে যেতেই শুরু হয়েছে খোঁজখবর।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি বিভাগে মান্নান বসির ওয়ানি কাটিয়েছে প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর। মধ্য কুড়ির বসির ওয়ানি অ্যাপ্লায়েড জিওলজিতে রিসার্চও করছিল। তার নাম নথিভুক্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে। উত্তর কাশ্মীরের এই যুবক রিমোট সেন্সিং এবং জিআইএস টেকনিক ব্যবহার করে স্থানীয় এলাকার ফ্লাড রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের ওপর রিসার্চ করে গতবছরে পুরস্কারও জিতে নেয়।
কিন্তু পড়াশোনা ছেড়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের কোনও এক জায়গায় হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দেওয়ার খবরে তার বন্ধু এবং শিক্ষকরা বিষ্মিত।
একবন্ধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই লিখেছেন, তিনি ভেবেছিলেন সিভিল সার্ভিসে যোগ দেবেন মান্নান ওয়ানি। অপর একজন ২০১৬-তে ভোপালে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে ওয়ানির প্রথম পুরস্কার জেতার কথাও উল্লেখ করেছেন।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মান্নান ওয়ানি উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে দিল্লিতে যায়। সেখান থেকে কুপওয়ারার লোলাব ভ্যালিতে বাড়ির উদ্দেশে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একে সিরিজের রাইফেল হাতে মান্নান ওয়ানির ছবি প্রকাশ্যে আসার পর পরিবার থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছে।