পালাবদলেও ভাগ্যবদল নয়, মহারাষ্ট্রের সেচ কেলেঙ্কারি থেকে ক্লিনচিট অজিত পাওয়ারকে
শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের শপথগ্রহণের আগের দিনই মহারাষ্ট্রের সেচ কেলেঙ্কারি থেকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে। আজ প্রকাশ্যে এল এই খবরটি।
শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের শপথগ্রহণের আগের দিনই মহারাষ্ট্রের সেচ কেলেঙ্কারি থেকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে। আজ প্রকাশ্যে এল এই খবরটি। এর আগে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী দদে শপথ নেওয়ার একদিন পরেই অজিতের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা খারিজ করেছিল মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন এসিবি
২৬ নভেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই সারা দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্লিনচিট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন মহারাষ্ট্র দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। জানান, মাত্র ৯টি মামলার বিষয়ে অজিত পওয়ারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এখনও এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন করা বাকি আছে। তাই ক্লিনচিট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
পালাবদলেও ভাগ্যবদল হয়নি অজিতের
জানা গিয়েছে ২৭ নভেম্বর, ফড়নবীশের পদত্যাগের এদিন পর ও উদ্ধবের শপথগ্রহণের একদিন আগে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে এই মামলা নিয়ে হলফনামা পেশ করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। সেই হলফনামায় নিম ছিল না অজিতের। নতুন হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদর্ভ ইরিগেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অজিত পাওয়ারকে কোনওভাবে দুর্নীতিতে যুক্ত পায়নি তদন্তকারী সংস্থা।
প্রাক্তন এসিবি চিফের অভিযোগ
অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে, প্রাক্তন এসিবি চিফ সঞ্জয় বারভে হলফনামায় উল্লেখ করেন, যে গোসিখুর্দ ও জিগাঁও প্রকল্পে টেন্ডারদের এক্সটেনশনে সই করেন। যদিও নতুন হলফনামায় সেই বিষয়টিকে প্রত্যাখান করা হয়েছে। অর্থাৎ অজিত পাওয়ারের ক্লিন চিট পাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার।
৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ কেলেঙ্কারি
২০১০ সালে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত পাওয়ার। সেচ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ইস্তফা দিয়ে জানান, এই অভিযোগ থেকে নিজের নাম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমি বিধায়ক হিসেবে সেবা করব। কোনও মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করব না। সে সময় বিদর্ভের উন্নয়ন খাতেও কয়েক হাজার কোটি টাকায় দুর্নীতিতে নাম জড়ায় তাঁর।
অজিতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ফড়নবীশ
এরপর ২০১৪ সালে দেবেন্দ্র ফড়নবিস প্রথমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অজিতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। ফড়নবিস ঘোষণা করেন, শীঘ্রই অজিতের জায়গা হবে আর্থার রোড জেলে। এরপর অক্টোবর মাসে বিধানসভা ভোটের আগেও ইডির তদন্ত হয় এই নিয়ে। এর জেরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত। শুধু অজিত নন, তাঁর কাকা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সহ দলের ৭০ জন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কর ইডি।
'দেরিতে হলেও সুবিচার মিলেছে’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার প্রসঙ্গে মন্তব্য জয়া বচ্চনের