সিধু ইস্যুর পরই সরব কপিল! কংগ্রেস-কোন্দলের মাঝেই বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
সিধু ইস্যুর পরই সরব কপিল! কংগ্রেস-কোন্দলের মাঝেই বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
পরপর হাইভোল্টেজ কংগ্রেস নেতার গমন নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় দেশের জাতীয় রাজনীতি। একদিকে যেমন গোয়ার স্ট্রংম্যান লুইজিনহো ফলেইরো কংগ্রেসের 'হাত' ছেড়েছেন, তেমনই পাঞ্জাব কংগ্রেসে তুমুল সংঘাতের জেরে অসন্তোষে কংগ্রেসের একাধিক বর্ষীয়ান নেতা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে, সিধু পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতেই দিল্লিতে ফুঁসে উঠে কার্যত হাইকমান্ডকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রেখেছেন কপিল সিবাল।
'আমরা জি-২৩ জি হুজুর ২৩ নই।' এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। তিনি জানান, ক্রমাগত ইস্যু তাঁরা তুলে ধরতে থাকবেন। এছাড়াও কংগ্রেসের নেতৃত্ব ঘিরে নির্বাচন চেয়ে গত বছর তাঁর মতোই বহু কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিলেও, তাতে জবাব আসেনি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেথ্য, গত অগাস্টেই কংগ্রেসের গোটা পার্টির মধ্যে সংস্কার ও বদল চেয়ে বহু দলনেতা বার্তা জানা সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। 'আমি খুবই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলছি, আমাদের লোকজন আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সুস্মিতা, ফলেইরো, জিতিন, মন্ত্রী হয়ে গেলেন। সিন্ধিয়া বহু আগেই চলে গিয়েছেন।.. সমস্ত দিক থেকে মানুষ আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন। আমাদের দলে কোনও প্রেসিডেন্ট নেই। আমরা সবই জানি, কিন্তু আমারা কিছুই জানি না।' কপিল সিবালের এই বক্তব্যেই কার্যত এদিন জাতীয় রাজনীতির বুকে ঝড় উঠে যায়। এরপরই তিনি গুলাম নবি আজাদের নাম না করে জানান, 'আমাদের একজন সিনিয়ার সহযোগি সিডাব্রিউ সি মিটিং ডাকার অনুরোধ করেছেন।'
এদিতে, ২০২২ সালে দেশে পর পর রাজ্যে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। সেই জায়গা থেকে পাঞ্জাব কংগ্রেসে প্রবল সংঘাতের আবহ। এদিকে, পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে দিল্লিতে অস্বস্তিতে গান্ধি শিবির। একদিকে যখন অমরিন্দরকে সরিয়ে পাঞ্জাবে সিধুর ঘনিষ্ঠকে পাঞ্জাবের তখত দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড, তখন দিল্লির বুতে কপিল সিবালের বক্তব্যের খানিক বাদেই দেখা যায় যে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং পৌঁছন বিজেপি নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে। এদিকে সিধুও পাঞ্জাব কংগ্রেসেরপধনা পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে সিধুর পদত্যাগের পর ও অমরিন্দর অমিত সাক্ষাতের পর পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।