নজরে ছিল নেপাল ভুটান সিকিম লাদাখ! কি ছিল চিনের মাস্টারপ্ল্যান? সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে যেসব এলাকা
পশ্চিম থেকে পূর্ব দেখতে গেলে চিন ভারতকে আক্রমণ করতে পারে গালওয়ান উপত্যকা, প্যাঙগং সো লেক, সিন্ধু নদীর উৎপত্তিস্থল, উত্তরাখণ্ড (কেদারনাথের উত্তর অংশে), সিকিম-ভুটান সংযোগস্থল, তাওয়াং উপত্যকা, সিয়াং উপত্যকা, ওয়ালঙ দিয়ে। শেষের তিনটি অঞ্চল অরুণাচলপ্রদেশে।
চিনের নজর ছিল যেসব জায়গার উপর
আর এই সব জায়গায় চিন নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়ে ভারতের তিনটি রাজ্য দখল করার পরিকল্পনা করেছিল। এমনটাই জানাচ্ছে নির্বাসনে থাকা তিব্বত সরকারের প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয় তিব্বত দখলের পর নেপাল ও ভুটানও দখল করতে চেয়েছিল চিন। জানান তিব্বতের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে।
কী বলছেন তিব্বতের প্রেসিডেন্ট
সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে চিন বিষয়ে এদিন বলেন, 'চিনা মাস্টারপ্ল্যানের একটি অংশ হল লাদাখ। গোটা হাত দখল করতে নেমেছে চিন। লাদাখ তার একটি আঙুল মাত্র। চিন আসলে ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি মেনে কার্যকলাপ চালায়। তার একটা ক্ষুদ্র অংশ হল লাদাখ।'
চিনের তিব্বত দখল
১৯৫০ সালে যখন চিন তিব্বত দখল করে তখন দেশে 'হিন্দি-চিনি ভাই ভাই' রব। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে এই বিষয়ে তিনি সতর্ক করেছিলেন। তবে তা গ্রাহ্য করেননি নেহরু। ফল, ১৯৬২ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধ। এরপরও বেশ কয়েকবার ভারত-চিন সীামন্ত পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে।
ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে চিন
চিন একটু একটু করে ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে। তবে সেটা ছিল ১৯৬২ সালে। আকসাই চিনের ৩৭,২৪৪ বর্গ কিলোমিটার দখল করে চিন। এরপর ইউপিএ জমানায় ২০০৮ সালে ছবি ও প্যাংনাক উপত্যকায় ২৫০ কিলোমিার ঢুকে যায় চিন। ২০১২ সালে কংগ্রেস জমানায় জোরাওয়ার ফোর্ট ধ্বংস করে সেখানে অবজার্ভিং পয়েন্ট বানায় চিন। ২০০৮ সালে ভারত ডুম চেলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ভারত।
চলতি উত্তেজনার মাঝেই নেপাল সীমানায় প্রবেশ চিনের
এদিকে লাদাখ নিয়ে চলতি উত্তেজনার মাঝেই নেপাল সীমানায় প্রবেশ করে তিব্বতের দিকে রাস্তা বাড়াচ্ছে চিন। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে সেখানে আউটপোস্ট বসাতে পারে চিন। তিব্বতের দিকে রাস্তা বাড়ানোর কাজ করছে চিন। মোট ১১ জায়গা দিয়ে রাস্তা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ১০টি জায়গায় কমপক্ষে ৩৩ হেক্টর জমি রয়েছে নেপালের।
লাদাখে ফের ভারতীয় সেনাকে বাধা চিনের! গালওয়ানের পর এবার যুদ্ধ পরিস্থিতি ডিবিও-তে