কিশোরীকে গণধর্ষণ চার নাবালকের, সাহায্যের বদলে ফের ধর্ষণ প্রধান শিক্ষকের
কিশোরীকে গণধর্ষণ চার নাবালকের, সাহায্যের বদলে ফের ধর্ষণ প্রধান শিক্ষকের
নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহার। চার ব্যক্তি এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দেখে চার ধর্ষক পালিয়ে যায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কিশোরীকে সাহায্য করার বদলে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাইমুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাকেশ কুমার বলেছেন, প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্র কুমার ভাস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চার নাবালককে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বাইরে বেরিয়েছিলেন শৌচালয়ের কাজ করতে।সেই সময় তাঁকে পাশের গ্রামের চার ছেলে তাঁকে অপহরণ করে। একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চার কিশোরকে একটি মেয়েকে জোর করে নিয়ে যেতে দেখলে তাদের অনুসরণ করেন। নাবালক গণধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষককে দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়। কিশোরী পুলিশকে জানান, শিক্ষককে দেখে ভেবেছিলেন তিনি বাঁচাবেন। পরিবর্তে প্রধান শিক্ষকও তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
কিশোরী কোনওক্রমে বাড়িতে ফিরে তাঁর মাকে জানায় সম্পূর্ণ ঘটনাটি। শিক্ষক ও চার নাবালকের বিরুদ্ধে পসকো আইনের অধীনে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই এলাকায় নাবালিকা ধর্ষণের দ্বিতীয় ঘটনা। সম্প্রতি ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর কিশোরীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে দুই জন রাজমিস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিহারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। প্রাথমিক শিক্ষকের ঘটনায় বিহারের সুশীল সমাজ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কোনও প্রধান শিক্ষক কীভাবে এক কিশোররীর দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারেন। রক্ষা করার পরিবর্তে ধর্ষণ করতে পারেন। তিনি তাঁর পড়ুয়াদের কী শিক্ষা দেবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, ৫৫ বছরের সরকারি স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কেসিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ক্রেনে করে টেনে নিয়ে যাওয়া হল YSRTP নেত্রীর গাড়ি