কিশোরীকে 'আইটেম' বলে সম্বোধন! অভিযুক্ত যুবককে কারাদণ্ডের আদেশ মুম্বইয়ের একটি আদালতের
কিশোরীকে আইটেম বলে সম্বোধন করায় এক যুবককে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মুম্বইয়ের একটি আদালতের তরফে অভিযুক্ত যুবককে দেড় বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে আইটেম বলে ডেকে নিয়ে
কিশোরীকে আইটেম বলে সম্বোধন করায় এক যুবককে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মুম্বইয়ের একটি আদালতের তরফে অভিযুক্ত যুবককে দেড় বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে আইটেম বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, কোনো নাবালিকাকে কিংবা মহিলাকে আইটেম বলে সম্বোধন করা, তাঁকে যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হবে।
কিশোরীকে আইটেম বলে সম্বোধন
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অভিযুক্ত যুবক স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরা কিশোরীকে মাথার চুল টেনে বলে, কী আইটেম, কোথায় যাচ্ছো? আদালতে আরও অভিযোগ করা হয়েছিল, অভিযুক্ত যুবক একমাস ধরে যৌন অভিপ্রাসে ওই কিশোরীকে অনুসরণ করেছিল।
একমাত্র সাক্ষীর অভিযোগ
এই
ঘটনায়
একমাত্র
সাক্ষী
জানিয়েছে,
২০১৫-র
১৪
জুলাই
দুপুর
দেড়টার
দিকে
স্কুল
থেকে
ফেরার
সময়
বন্ধুদের
সঙ্গে
বসেছিল
ওই
কিশোরী।
কাছাকাঠি
ছিল
ওই
অভিযুক্ত
যুবকও।
নাবালিকা
জানিয়েছে,
একটা
সময়
য়ে
দেখে
পিছনে
এসে
দাঁড়িয়ে
আছে
ওই
যুবক।
সেই
সময়
ওই
যুবক
চুল
টেনে
বলে
কী
আইটেম,
কোথায়
যাচ্ছো?
ওই
নাবালিকা
জানিয়েছে
যে
সময়
ওই
যুবক
এই
কথা
বলছিল,
সেই
সময়
ওই
যুবককে
সে
ধাক্কা
দেয়
এবং
তাঁকে
এইসব
কথা
না
বলতে
অনুরোধ
করে।
আরও
অভিযোগ,
অভিযুক্ত
যুবক
পাল্টা
তাকে
গালাগালি
দেয়
এবং
হুঁশিয়ারি
দেয়
সে
যা
খুশি
করতে
পারে।
সেই
সময়
নাবালিকা
কোনও
মতে
১০০
ডায়াল
করে।
ঘটনাস্থলে
পুলিশ
পৌঁছতে
পৌঁছতে
ওই
যুবক
পালিয়ে
যায়।
বাড়িতে
পৌঁছে
নাবালিকা
পুরো
ঘটনা
তাঁর
বাবাকে
জানায়।
যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত
মুম্বইয়ের একটি আদালত বছর ২৬-এর ওই ব্যবসায়ীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ক্ষমার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক এসজে আনসারি বলেছএন নারীদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই ধরনের অপরাধ কঠোরভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি এই ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে রাস্তার ধারের রোমিওদেরও শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
অভিযুক্তের দাবি খারিজ
পকসো আদালত অভিযুক্তের দাবিও খারিজ করে দিয়েছে। অভিযুক্ত দাবি করেছিল, কিশোরীর বাবা-মা মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বে আগ্রহী ছিলেন না বলে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই বছরের জুলাইয়ে নাবালিকাকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল।