উত্তরপ্রদেশের পর ছত্তিশগড়ের রাজ্যপালও ইস্তফা দিলেন
ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল শেখর দত্তের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের কাছে দিল্লিতে গলকাল রাতেই রাজ্যপাল ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যপাল হিসাবে শেখর দত্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ইস্তফার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী যে রাজ্যপালদের ফোন করেছেন শেখর দত্ত তাঁদের মধ্যেই একজন। (আরও পড়ুন)
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কে শঙ্করনারায়ন জানিয়েছেন এবিষয়ে দুবার স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে ফোন পেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি এই জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে এমন কোনও ব্যক্তি তাকে ইস্তফার বিষয়ে জানাচ্ছেন ততক্ষণ তিনি ইস্তফা দেবেন না।
'এখনও ইস্তফা দিইনি',জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এমকে নারায়ণন
এক বিবৃতিতে কে শঙ্করনারায়ণ জানিয়েছেন, রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। নিয়োগও রাষ্ট্রপতিই করেন। এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে আমার পদ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে লিখিতভাবে কিছুই পাইনি। যদি যথোপযুক্ত ব্যক্তি যদি আমায় এবিষয়ে জানান, তাহলে অবশ্যই ভেবে দেখব।
এবিষয়ে কেরালার রাজ্যপাল শীলা দীক্ষিতকেও ফোন করেন স্বরাষ্ট্র সচিব। ১৫ বছর টানা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জঘন্য হারের পর চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ইউপিএ সরকার কেরালার রাজ্যপাল হিসাবে শীলা দীক্ষিতকে নিযুক্ত করে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যপালকে ফোন করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব কে?
এদিকে এই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আপাতত তিনি ইস্তফা দেননি। উপরন্তু এম কে নারায়ণনকে সরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যেতে রাজি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপির এই পদক্ষেপকে অন্যায় বলে ব্যাখ্যা করেছেন মমতা।